
প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুবাদে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
বিমান পরিবহন অবকাঠামো, নিরাপত্তা, সংস্কৃতি, বাসস্থান, টাকার মান ও স্থিতিশীল ভ্রমণের সুযোগসহ ৯০টি মানদণ্ড বিবেচনা করে ১৪০ দেশের র্যাংকিং করা হয়েছে।
ট্রাফেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্চলিক বিশ্লেষণে এশিয়া-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বৃদ্ধির ফলে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ বেশ সুবিধাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য উন্নতির আভাস রয়েছে।
তবে অনুন্নত পর্যটন সেবা অবকাঠামো, বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতা বাংলাদেশের সামগ্রিক আকর্ষণকে ম্লান করবে বলেও উল্লেখ করা হয় ঐ প্রতিবেদন। তালিকায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত (৩৪), শ্রীলঙ্কা (৭৭), নেপাল (১০২) ওপরের দিকে। বাংলাদেশের নিচে আছে পাকিস্তান (১২১)।
অন্যদিকে পর্যটনবান্ধব তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা ও সুইজারল্যান্ড।
প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ, বিমান পরিবহন পরিকাঠামো, জাতীয় ভ্রমণ ও পর্যটন নীতি এবং উপযুক্ত পরিবেশ এ চারটি বিষয় চলতি বছরের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আলোচনার গুরুত্ব পেয়েছে।