Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার, ২১সেপ্টেম্বর, ২০১৯ঃ হলুদ রঙের ইয়াবাসহ গতকাল শুক্রবার আটক হওয়া কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সফিকুল ইসলাম ফিরোজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে ধানমণ্ডি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে মামলা দুটি দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার রাতে র‌্যাব-২ এর একটি দল অভিযান চালায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে। এর আগে দুপুরে আটক করা হয় ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে। রাতে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, এ অভিযানে মোট পাঁচজন আটক করা হয়েছে। অভিযান এ ক্লাব থেকে গন্ধবিহীন ইয়াবা, একটা বিদেশি পিস্তুলসহ তিন রাউন্ড গুলি, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়। ক্লাবটিতে যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে আগে এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হত।

শুক্রবার রাতেই ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান চালায় র‍্যাব।রাজধানীতে ক্লাবের অন্তরালে মাদক, ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলা অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের রাতে ক্লাবটি বন্ধ থাকায় র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম ক্লাবটির বার ২৪ ঘণ্টার জন্য সিলগালা করে দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক হন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ।

শুক্রবার জি কে শামীমকে নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। এর মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি টাকা ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে।