Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার,২৫সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ  দুরাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিরুদ্ধে চলছে শুদ্ধি অভিযান। এই শুদ্ধি অভিযানের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ক্যাসিনো বা জুয়ার বন্ধের অভিযান।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে প্রথম অভিযান চালায় র‌্যাব। এখানে জুয়া-ক্যাসিনো চালানোয় ক্লাবের কর্ণধার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তার গুলশানের বাসা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।

এরপর জি কে শামীমের ডেরায় অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ইতিমধ্যে আরও বেশ কয়েকজন যুবলীগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল অংকের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ব্যাঙের ছাতার মতো ক্যাসিনো ব্যবসা গড়ে ওঠার কারণ আসলে কী? এসব ক্যাসিনো ব্যবসা বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে দুর্বল আইন। ক্যাসিনো বা জুয়া খেয়ার জন্য রাজধানী বা সারা দেশে তেমন কোনো কঠোর আইন নেই।

দেশে পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট, ১৮৬৭ নামের যে আইনটি রয়েছে সেটি রাজধানীতে প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে ইহা প্রযোজ্য হইবে’।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ৯২ ধারায় প্রকাশ্যে জুয়া খেলার জন্য মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

রাজধানীর ক্লাবগুলো থেকে জুয়া এবং ক্যাসিনোর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও কয়েক কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।এ বিষয়ে ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ৯২ ধারায় যে জরিমানার কথা বলা হয়েছে তা খুবই নগণ্য। আর জুয়ার শাস্তি মাত্র ২০০ টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘দুর্বল’ আইনের কারণেই আটকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্যাসিনো অভিযানে যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে তাতে জুয়াবিরোধী আইন যুগোপযোগী করা খুবই প্রয়োজন।