খােলাবাজার ২৪,সোমবার,২৮অক্টোবর,২০১৯ঃ সরকারি সৌর কর্মসূচিতে দেশীয় সোলার প্যানেল/মডিউল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠাগুলোর জন্য ৩০ শতাংশ বিশেষ কোটা বরাদ্দ রাখাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে সোলার মডিউল ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএমএবি)। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সোলার খাতের উন্নয়নে স্থানীয় প্রস্তুতকারীদের যৌক্তিক কোটা বরাদ্দ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন এসব দাবি জানান। এসএমএমএবি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম বাকী মাসুদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সংগঠনের ইতিহাস, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও পূর্ণাঙ্গ দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসএমএমএবি’র সিনিয়র সহসভাপতি মশিউর রহমান, সহসভাপতি ইঞ্জি. আনসার উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আবদুল হালিম মৃধা, সদস্য তানজিল চৌধুরী প্রমুখ।
এসএমএমএবি’র সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন বলেন, সৌর বিদ্যুৎ খাতে গড়ে ওঠা স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা দেশের সমগ্র চাহিদার যোগান দেয়ার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু দেশীয় পণ্যের বাজার সম্পসারণে সহায়ক কোন সরকারি নীতিমালা না থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানই উৎপাদনের আগ্রহ হারাবে। সম্প্রতি পিভি (ফটোভোল্টেইক/সোলার) মডিউল রপ্তানীতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুনাওয়ার মঈন বলেন, গুণগত মান বজায় না রেখে বর্তমানে চায়না ও ভারত থেকে কম দামে সোলার প্যানেল আমদানী হচ্ছে। যা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম প্রতিযোগিতায় ফেলছে। এ বিষয়টিও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
এসএমএমসিবি’র অন্যান্য দাবিগুলো হলো: এ খাতে দেশী শিল্পকে উৎসাহিতকরণে ৪-৫ শতাংশ সুদে নূন্যতম ১০-১৫ বছর মেয়াদী ঋণ প্রদান, মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ত্রৈমাসিক সভার আয়োজন; সোলার প্যানেল আমদানী নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন; আমদানীকৃত সৌর যন্ত্রাংশের মান নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব প্রতিষ্ঠা; টেকসই ও নাবয়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (¯্রডো)-সহ সরকারের সোলার বিষয়ক সব কমিটিতে এসএমএমএবি’র একজন প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; সরকারের রুফটপ প্রকল্প, সৌর সেচ প্রকল্প, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণসহ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রিক সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দেশীয় উৎপাদনকারী শিল্পের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের অর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সংগঠনটির ৯টি সদস্য প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল উৎপাদনে সক্ষম, যা দেশের বার্ষিক চাহিদার সমান। তারা বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট নাবয়নযোগ্য জ্বালানির সরকারি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টর সম্মিলতভাবে কাজ করা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশীয় বাজারে চায়না ও ভারত থেকে আমদানীকৃত মানহীন কমদামী প্যানেল স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন নিরুৎসাহিত করছে অথবা তারা রপ্তানীর দিকে ঝুঁকছে। ব্যাপকহারে আমদানীকৃত নিম্নমানের এসব সোলার প্যানেলের মান নিয়ন্ত্রণে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।