Tue. Jun 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪, শুক্রবার, ০৬ডিসেম্বর ২০১৯ঃ ফেনি জেলা প্রতিনিধিঃ শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যথাযথ মর্যাদায় ফেনী মুক্তি দিবস  দিবস পালন করেছে। সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের জেল রোডস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফেনী পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এরপর সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন স্থানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার মো. মনিরুজজামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্রামুজ্জামান, ফেনী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুর রহমান, সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব, দাগনভূঞা উপজেলা সাবেক কমান্ডার শরীয়ত উল্যাহ বাঙ্গালি ও মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার ভূঞা।

বক্তারা বলেন, বিজয় দিবসের ১০ দিন আগেই হানাদার মুক্ত হয় ফেনী। মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ৬ ডিসেম্বর ভোরেই মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ফেনী প্রবেশ করে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে পুরো শহর প্রকম্পিত করে তোলে। বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা পাশবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থান নিয়ে শত্রুর মোকাবিলায় আস্তে আস্তে অগ্রসর হতে থাকেন।

পরশুরামের বিলোনীয়ায় পাকসেনাদের সাথে কয়েক দফা সম্মুখ লড়াই হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। সর্বশেষ ৪ নভেম্বর রাতে মুহুরী নদীর পাড় ঘেঁষে পরশুরামে প্রবেশ করেন ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইপিআর সদস্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা। তাঁরা পাকসেনাদের দখলে থাকা চিথলিয়া ও পরশুরামের মজুমদার হাট ক্যাম্পের মাঝ বরাবর ঢুকে পড়ে শত্রুর অবস্থানে অতর্কিতে হামলা করে তাদের নাস্তানাবুদ করে তোলেন। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শেষে ৭ নভেম্বর পরশুরামকে শত্রু মুক্ত করা হয়। শত্রু-অবস্থানের মাঝ বরাবর ঢুকে পড়ে যুদ্ধ করার এমন ঘটনা শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, বিশ্বের যুদ্ধের ইতিহাসেও বিরল। যে কারণে বিভিন্ন দেশের সামরিক শিক্ষার বইয়ে বিলোনিয়ার যুদ্ধ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আলোচনা সভা শেষে সুসজ্জিত হয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ঢাক-ঢোল ও বাদ্য বাজিয়ে সর্বস্তরের জনগরের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালিটি জেল রোড থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দোয়েল চত্বরে এসে সম্পন্ন হয়। তরুণ সংঘের সভাপতি নুর শাহ মো. আজাদ জানান, প্রতিারের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুণ সংঘের উদ্যোগে ৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ছাগলনাইয়া থেকে নোয়াখালী সীমান্তের সেবারহাট ব্রীজ পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটারের তারুণ্যের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৭১জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তারা নিজাম হাজারী এমপি ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামানের হাতে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।