Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,২৭ফেব্রুয়ারি,২০২০ঃ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে ২শ’ও বেশি মানুষ। আর এ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৩০ জনকে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

গত রোববার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। টানা চারদিন ধরে চলতে থাকে এই সংঘর্ষ। একের পর এক চলতে থাকে গুলি, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট।

সিএএ সমর্থনকারী ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক ধাক্কায় প্রাণ গেল আরও সাতজনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর ফলে দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।

দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘আমার ভাই ও বোনেদের দিল্লিতে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।’ তিনি জানান, পুলিশ ও অন্য এজেন্সি মিলে এলাকার শান্তি ফেরানোর কাজ করছে। তিনি লেখেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি আমাদের নৈতিকতার কেন্দ্রস্থল।’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অশান্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন বলে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নিহতদের দুই লাখ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

দিল্লির যে এলাকাগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সেসব এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে।

তবে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মৌজপুর, জাফরাবাদের মতো বেশ কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৩০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ওই হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছিল এই হাসপাতালে। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এলএনজেপি হাসপাতাল আর এক জনের মৃত্যু হয়েছে জগ পরবেশ চন্দ্র হাসপাতালে।