
কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প, স্থাপনাদি ও কার্যক্রম ও জেটি এলাকা পরিদর্শন শেষে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মোংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম, উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক সভা করেন। সভায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম-এম.পি, বীরউত্তম উল্লেখ করেন যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে সাথে মোংলা বন্দরও এগিয়ে যাচ্ছে। মোংলা বন্দরকে ঘিরে প্রকল্পগুলো যাথে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন তার দিকে খেয়াল রাখার জন্য সকলকে বলেন। তিনি বন্দরের কার্যক্রমে ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই এই বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি লাভ করে দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহে সেবা দিতে পারবে বলে আশা করেন। এ সময় বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পঞ্চগড়-১ আসনের এমপি মোঃ মজাহারুল হক প্রধান ও পটুয়াখালী-৩আসনের এমপি অনল চন্দ্র দাস বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম-এম.পি, বীরউত্তম, ২৬৪ চাঁদপুর-৫ সহ জনাব মোঃ মজাহারুল হক প্রধান-এম.পি, ১ পঞ্চগড়-১, সদস্য, জনাব রণজিৎ কুমার রায়- এম.পি, ৮৮ যশোর-৪, সদস্য, জনাব ডাঃ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল-এম.পি, ৪৩ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, সদস্য, জনাব এস এম শাহজাদা-এম.পি., ১১৩ পটুয়াখালী-৩, সদস্য এবং জনাব অনল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগন পরিদর্শনে সফর সঙ্গি ছিলেন। সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিং এ সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে মৃত এবং লোকসানে যাওয়া মোংলা বন্দর ঘুরে দাড়িয়েছে। এটি আজ সক্ষম-সচল-কর্মঠ বন্দর হিসেবে পৃথিবীতে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, আউটারবার ড্রেজিংয়ের মাটি দুবলার চরে ফেলা হচ্ছে যাতে আবার পশুর নদীর তলদেশে না আসে। অভ্যন্তীরণ নৌপথ ড্রেজিং হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্দার এবং ড্রেজিং করে নৌ চলাচলের আওতায় আনা হচ্ছে।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন যে, মোংলা বন্দরের সম্ভাব্য বর্ধিত চাহিদা সুষ্ঠু ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলার জন্য আউটারবার এলাকায় ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৮.৫ মিটার সিডি গভীরতা অর্জন করা হলে স্বাভাবিক জোয়ারে ১০.৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ এ্যাংকোরেজে হ্যান্ডেল সম্ভব হবে বলে অবহিত করেন। প্রকল্প শেষে মোংলা বন্দর অধিক সংখ্যক জাহাজ আগমন এবং মালামাল হ্যান্ডেল করতে সক্ষম হবে। বন্দর চেয়ারম্যান আরোও উল্লেখ করেন যে, পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে বন্দরের কাজ বহুগুনে বেড়ে যাবে। সে লক্ষকে সামনে রেখে বন্দরে ইতোমধ্যেই ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। চ্যানেলে ড্রেজিং, সংরক্ষণ ড্রেজিং, ঠঞগঝ স্থাপন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও জলযান সংগ্রহ এবং পার্শ্ববর্তী একশত বছরের কার্যক্রমের প্রক্ষেপন প্রস্তুতসহ ভবিষ্যৎ করনীয় সম্পর্কে মাষ্টার প্লান প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি স্থায়ী কমিটির এই পরিদর্শন ও দিক নির্দেশনা বন্দরের কাজকে আরও গতিশীল করবে এবং জাতীয় সংসদ ও তথা সারাদেশে বন্দরের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং পরিদর্শনে আগত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।