ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার’র প্রতিবেদনে বলা হয়, কঙ্গনার ইনস্টাগ্রামে এ বছরের মার্চে পোস্ট করা হয়েছিল ওই ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা যায়, মানালির বাড়িতে বসে কঙ্গনা বলছেন, ‘ছোটবেলাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে এসেছিলাম। এর কয়েক বছরের মধ্যেই আমি ফিল্মস্টার হই। একই সঙ্গে হয়ে উঠি মাদকাসক্তও।’ তখন সদ্য কেরিয়ার শুরু, মিলছে খ্যাতি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ঝড়, জানান কঙ্গনা। তার কথায়, ‘জীবনকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু হচ্ছিল। অদ্ভূত সব মানুষ জীবনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল হঠাৎ। আমার তখন ১৮ বছরও হয়নি। টিনএজার ছিলাম।’
অধ্যয়ন বলেন, ‘২০০৮ সালে কঙ্গনা তার জন্মদিনে “দ্য লীলা”তে কাছের মানুষদের আমন্ত্রণ জানাই। আমায় হঠাৎ করেই ও (কঙ্গনা) বলে, “চল আজ সারা রাত কোকেন নিই“। এর আগে আমি কঙ্গনার সঙ্গে গাঁজা খেয়েছি। আমার ভালো লাগেনি। আমি না বলি। এর পরেই কঙ্গনা রেগে যায়। আমাদের মধ্যে বিশ্রী ঝামেলা শুরু হয়।’
যদিও কয়েক দিন আগে কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রামে মুম্বাই পুলিশকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘দয়া করে আমার ড্রাগ টেস্ট করুন। আমার কল রেকর্ডও চেক করতে পারেন। যদি কোনো মাদক পাচারকারীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ প্রমাণ করতে পারেন, অথবা খুঁজে পান তবে আমি আমার ভুল স্বীকার করব এবং সারা জীবনের জন্য মুম্বাই ছেড়ে দেব।’
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকের সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত শুরু হতে চলেছে বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ শুক্রবার বিধানসভায় বলেন, ‘কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘২০১৬ সালে একটি পার্টিতে অভিনেত্রী নিজে কোকেন নিয়েছেন, তাকেও নেশা করার জন্য পীড়াপীড়ি করেছেন। এর তদন্ত হবে।’’ এর পরেই মহারাষ্ট্র সরকার চিঠি দিয়ে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় মুম্বাই পুলিশকে।