এদিকে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে অশ্লীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেন্সর না থাকায় ওয়েব সিরিজে উদ্ভট গল্প, অশালীন দৃশ্য, নোংরা সংলাপ ব্যবহার যেন আজ আর নতুন কোনো বিষয় নয়। আর এই স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন আমাদের নাটকের জনপ্রিয় কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী। তবে ভালো মানের ওয়েব সিরিজ যে নির্মিত হচ্ছেনা তা কিন্তু নয়। তবে সেগুলো অশ্লীল ওয়েব সিরিজের দাপটে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
এই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরেই যোগাযোগ করা হয় ফারিয়া শাহরিনের সঙ্গে। সমকাল অনলাইনকে ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘বিশ্বাস করেন আমি খুব অবাক হয়েছি। তিনি আমাকে এ ধরনের গল্পে কাজ করার প্রস্তাব কিভাবে দিলেন। আমি তো এমন না যে টাকার এমন পর্ণ গল্পে কাজ করতে হবে। আমি ভালো একটা প্লাটফর্ম দিয়ে শোবিজে এসেছি। সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান আমি। এমন কোন কাজ করবো না যা আমার আদর্শের সাথে যায়না। আমার পরিবার নিয়ে যা দেখা যাবে না।’
দীর্ঘদিন উচ্চশিক্ষার কারণে মালয়েশিয়াতে ছিলেন ফারিয়া শাহরিন। বর্তমানে তিনি লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরেছেন। এখন স্থায়ীভাবে দেশেই থাকবেন। আগের মতো নিয়মিত কাজ করবেন।
ফারিয়া বলেন, ‘এমন তো না যে এগুলোতে অভিনয় করে অস্কার পুরস্কার পেয়ে যাবে কেউ। বিশাল অংকের টাকও তো পাচ্ছেন না। তাহলে কেনো এমন অশ্লীল গল্পে অভিনয় করে নিজের ইমেজের বারোটা বাজাতে হবে? আমরা সবাই যদি একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেই অশ্লীল গল্পে অভিনয় করবো না। তাহলে কিন্তু ভালো গল্পে ওয়েব সিরিজ বানাতে নির্মাতারাও বাধ্য হবেন।’