Mon. Jun 9th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,সোমবার,২১ সেপ্টেম্বর,২০২০:  স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী আবজাল হোসেনকে ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে দুদক। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে দুদক।

অপর দিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৬ আগস্ট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আবজাল হোসেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ২৭ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।

মামলায় আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪ শ’ ৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। একইসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২ শ’ ৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২ শ’ ৭ টাকা পাচারের অভিযোগও করা হয়।

আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪ শ’ ৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৭ শ’ ৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনাকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। তারা দুদকের কাছে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯ শ’ ২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১ শ’ ৭৫ টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।