Sat. Oct 18th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪, সোমবার ১৬ নভেম্বর ২০২০: বাংলাদেশ তুরস্কের সাথে বাণিজ্যে এগিয়ে আছে। সে দেশের সাথে প্রায় ২২ কোটি ডলার বেশি বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এখন বাংলাদেশের। তবে বাণিজ্য জটিলতার কারণে সেখানে রফতানিতে এখনো কিছু সমস্যা বিদ্যমান। তৈরী পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রীর সাথে তুরস্কের বৈঠকে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে, তৈরী পোশাক খাতের ডিজাইন নিয়েও তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী।

জানা গেছে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমান খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশ বেশি রফতানি করে তুরষ্কে। এ মহুর্তে বাংলাদেশ তুরস্কে ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ২৩ কোটি ৩৫লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক। আর গত বছরও ২০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরস্ক রফতানি করা হয়েছে। তবে বাণিজ্য জটিলতার কারনে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান রফতানিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহিৃত করে, আলোচনার মাধমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।

আর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ সরকার আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন বিনিয়োগকারিদের। তিনি বলেন, তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের, বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু দেশের সাথে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরস্কের সাথেও বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন রয়েছে। এই কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ওষুধ এবং তৈরী পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরস্ক লাভবান হবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরষ্ক বাংলাদেশের সাথে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরস্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তৈরী পোশাকও তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। এর ডিজাইন নিয়েও তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী। ওষুধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ওষুধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরস্ক সরবরাহ করতে পারে। কিভাবে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরস্ক। তুরস্ক বাংলাদেশের সাথে জয়েন্ট ভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। এন্টিডাম্পিং প্রত্যাহার এবং তৈরী পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমোনোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ সফল ভাবে মোকাবেলার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।