রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সিয়াম নিজেই তার চাকরি হারানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্ধু ত্ব-হা ইস্যুতে শনিবার (১৯ জুন) তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
সিয়াম বলেন, আমার বন্ধু ত্ব-হাসহ চারজন গাইবান্ধায় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, এটা আমাকে জানানো হয়নি। এ কারণে ত্ব-হার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন ছিলাম। অন্য বন্ধু-বান্ধবদের মতো ত্ব-হার সন্ধান দাবিতে আমিও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। পুলিশ ত্ব-হাকে উদ্ধারের পর জানলাম, সে আত্মগোপনে ছিল। সেটা নাকি আমাদের বাড়িতেই। আমার মা ত্ব-হাদের সেখানে লুকিয়ে থাকার ব্যাপারে আমাকে কিছু জানায়নি। অথচ এখন অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি নাকি তাদেরকে লুকিয়ে রেখে মানববন্ধন করেছি। এটা মিথ্যা অভিযোগ, আমি কিছুই জানতাম না।
মা কেন ত্ব-হাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি জানাননি, এ প্রশ্নের উত্তরে সিয়াম বলেন, ত্ব-হা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে যেত। সে আমার স্কুল-কলেজের ফ্রেন্ড। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি। আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। ও নাকি আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মাকে অনুরোধ করেছিল, তাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি যেন আমার মা কাউকে না জানান।
সিয়ামের মা নিশাদ নাহার গণমাধ্যমকে জানান, ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা সাত দিন তাদের বাড়িতে ছিল, কিন্তু আশপাশের কেউ জানত না। এমনকি তার ছেলে সিয়ামও জানত না।