Sun. Jun 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,০৭অক্টোবর ২০২১: বিশেষ প্রতিনিধি,ম.হুমায়ুন তালুকদারঃ পৃথিবীতে কিছু মানুষের জন্ম নিজের তরে নয়, মানুষের উপকারের জন্য এমন মানুষ আগে পাওয়া যেত ঢের। কিন্তু এখন এমন মানুষ দিন দিন কেনজানি কমে যাচ্ছে। মানুষ যার যার চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। তবে নানা রঙে-রূপে ও উপাদানে সাজানো বৈচিত্রময় এ সমাজে ব্যতিক্রম কিছু মানুষ আছে বলেই হয়তো সামাজিক কাঠামো টিকে আছে।ব্যাতিক্রম এমন একজন মানুষের কথা তুলে ধরব, যিনি নিজে এবং তার পরিবার বংশ পরম্পরায় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছেন।
নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ-সম্পদ বিলাসিতায় ব্যয় না করে দু:খী-অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে আসছেন। পিরোজপুরসহ দেশের নানান প্রান্তে শিক্ষা, ধর্মীয়,অসহায়দের মানুষের সহযোগীতার অবদান এককথায় অতুলনীয়।পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক কবি এম রহমান রানা।শিল্প উদ্যাক্তা ম্যানেজিং ডিরেক্টর একে আর গ্রুপ।
বহুগুনের একজন প্রতিভাবান কবি তিঁনি একাধরে তিনি কবি, শিল্পি,গিতিকার একজন আবৃতিকার একজন সফল ব্যবসায়ী।কবি তাঁর আপন ভূবনে শ্রেষ্ঠত্ব নয় মানবিক কাজের মধ্যে শান্তিুর সুখ খুঁজে পান।তাই তিনি আপন মনে সমাজসেবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে খোঁজ খবর নেন। মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পান।স্বস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নয়, এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন নিশ্চুপভাবে।
এলাকার মাদ্রাসা,মসজিদ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সকল কাজেই তাঁর অবদান আর্থীক সহয়তা নিরবে করে চলেছেন। কবি এম রহমান রানা মানুষের ভালোবাসা ও আস্থাকে ভালবেসে জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।দু:খী-অসহায় মানুষকে যথাসাধ্য সহায়তা করতে থাকেন। তিনি ও তার পরিবার থেকে উপকৃত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।কবি এম রহমান রানা হৃদয়ে বহন করছেন সমাজসেবার বীজ। মানুষের জন্য তার অন্তরে রয়েছে গভীর ভালবাসা। রাজনীতি করার জন্য বা লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও স্রষ্টার প্রতি ভয় রেখে শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য চিকিতসা ক্ষেত্রে তার সমাজসেবা চলমান থাকবেতিনি সমাজসেবা করার জন্য পিতার নামে তৈরী করেছেন “আব্দুল মান্নান ফাউন্ডেশন” নিজের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পরিচালনা করছেন এ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী,বাংলা কবিতায় আধুনিক শব্দ শৈলী কবি,কবি এম রহমান রানা। একজন প্রতিভাবান কবি , জীবনকে তিনি যেভাবে দেখেন সেই ভাবেই তার রুপ কবিতায় প্রতিফলিত করেন । সেই প্রচেষ্টা ও ইচ্ছা নিয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে শব্দমালা তৈরী করেন।,লিখে যাচ্ছেন অসাধারন কবিতা । তাঁর কবিতা জীবনের নানা বর্ণিল ঘটনার স্মারক । প্রকৃতি , প্রেম , সংসার সমাজের নানান কাহিনী, কামনা ,বাসনার মনোমুগ্ধকর উপমায় , বাস্তব চিত্র তুলে ধরার প্রয়াস। নানান ভাবে নিজেকে তিনি উপস্হাপন করেছেন সমাজে। একই অঙ্গে বহুরুপ তার। একাধারে গান লিখেন সুর করেন তারপর নিজের গলায় সুর ধরে গান করেন। বিভিন্ন পারিবারিক সামাজিক অনুষ্ঠানে জমজমাট গানের আসরে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন তার সুরের মুর্শনায়।তার বেশকিছু জনপ্রিয় গানও আছে যা বন্ধু মহলে অনেক অনেক জনপ্রিয়। ছাত্রজীবন থেকে লেখালেখি করেন। এ যাবৎ তার প্রায় চার হাজার কবিতা লিখেছেন ।
কবিতা ও গানের পাশাপাশি তিনি কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের স্বভাব পরিবর্তন নিয়ে অথৎ মানুষকে মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।তার মুল বক্তব্য পরিশ্রম সততা কখনও বিফলে যায়না ।স্বপ্ন দেখেন এবং স্বপ্ন দেখান এক উন্নত বাংলাদেশের। কবি বলতে আমরা যা বুঝি আলখোল্লা পাঞ্জাবি-পায়জামা উষ্কশুষ্ক চুল, পায়ে স্যান্ডেল এক উদাসী যুবক বাস্তবে এখন আর ঝাকড়া চুল দোলানা কবি নেই। আধুনিক জীবন যাপনের কারনে কবিদের এখন দেখা যায় বিভিন্ন আধুনিক পোশাকে। তবে আমি বলছি ভিন্ন এক কবির কথা।বাংলা কবিতার আধুনিক শব্দ শৈলী কবি যিনি। যার পোশাক চলাফেরা স্বাভাবিক কাজকর্ম সব কিছুর মধ্যে রয়েছে একটি নিজস্ব বৈচিত্র যে বৈচিত্র আমাদের সকলকেই মুগ্ধ করে।যার বৈচিত্রের কারনেই তিনি সকলের কাছে একজন প্রিয় কবি হয়ে উঠেছেন।
কবি কখনও একজন গায়ক কখনও একজন গীতিকার কখনও দেখে মনে হবে কোন মডেল বহুরুপে বহৃগুনের প্রতিভা দিয়ে কবি কখনও হয়ে যায় দার্শনিক।তার চিন্তা চেতনা আবেগ অনুভুতি ছুয়ে যায় পুরো পৃথিবী। একজন মানুষ কত রকম গুনের অধিকারী হতে পারে তা তাকে কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যাবেনা । কবি এম রহমান রানা একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী।বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ম্যানেজিং ডিরেক্টর একে আর গ্রুপ।তার পরিশ্রম মেধা সততা এবং আত্ববিশ্বাস তাকে নিয়ে গেছে সফলতার মঞ্চে।দেশের সফল ব্যক্তির কাতারে তিনি একজন সফল উদ্যক্তা।পরম যত্নে তিনি লালন করেন তার ব্রবসা প্রতিষ্ঠান।তার প্রতিষ্ঠানে তার কর্মকতা কর্মচারীর কাছে তিনি একজন আদর্শ মহাজন হিসেবে পরিচিত শুধু তাই নয় বিপদে আপদে পাশে থাকেন শ্রমীকদের। কবির মধ্যে একটি জাদুকারী শক্তি আছে।
কবি যখন কথা বলেন তার কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতে হয়।তার শব্দশৈলী,তার বাচনভঙ্গি,তার চিন্তা শক্তির মিশ্রনে হয়ে ওঠে এক কবিতার মঞ্চ।তার কবিতায় উঠে আসছে দেশ প্রেম,বোধ,ভালবাসা,প্রকৃতি,মানব মুক্তির অধিকার,শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শিরিয়ার যুদ্ধসহ নানান বিষয়। কবি এম রহমান রানা একজন সুরেলা মিষ্টি কন্ঠের গায়ক তিনি পারিবার এবং বন্ধু মহলে একজন শিল্পি হিসেবে ব্যপক পরিচিত এবং প্রসংশনীয়।তার নিজের একটি গানের দল রয়েছে।তিনি পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে থাকেন তার নিজস্ব অফিসে একটি ছোটখাট স্টুডিও রয়েছে যেখানে মন চাইলেই সুরের মুছুনায় হারিয়ে যায়। তার লেখা গান প্রায় চারশতাধিক।
তিনি নিজের সুরে নিজের লেখা গান করেন। সব সময় নিজেকে পরিপাটি গুছিয়ে রাখেন নতুন নতুন পোশাকে নিজেকে উপস্হাপন করেন সকলের কাছে।কখনও সুট টাই,কখনও টি শার্ট এর সাথে ব্লেজার, কখনও জিন্সের সাথে সার্ট মাঝে মধ্যে পান্জাবি পায়জামা সাথে দামী শাল তার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। সাথে থাকে দামি দামি ক্যাপ।নতুন নতুন ক্যাপ এবং তার ব্যবহৃত দামি ঘড়ি সকলকে মুগ্ধ করে ।নিজের পছন্দমত মত পোশাক তৈরী করেন তিনি ।

নতুন নতুন পোশাকের আইডিয়া দিয়ে তৈরী করেন আধুনিক পোশাক তার নিজস্ব বৈচিত্র দিয়ে তৈরী করেন পোশাকের নতুনত্ব। শিক্ষার মান উন্নয়নে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিকভাবে সহযোগতিা করে যাচ্ছেন। ঢাকা এবং তার নিজ এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার নিয়মিত সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।জানামতে প্রায় দশটি মসজিদের ইমাম এবং মুয়াজ্জিনের বেতন তিনি নিয়মিত দিয়ে থাকেন।মসজিদ মাদ্রাসা উন্নয়নে সব সময় সহযোগীতা করে থাকেন।মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য সাহায্য করে থাকেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তার হাজারো স্বপ্ন রয়েছে কিভাবে এলাকার মানুষকে কর্মমূখি শিক্ষা দেওয়া যায়। প্রতিভাবান কবি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় বালিপাড়া গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিমি পরিবারে ১৯৬৮সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন।তার পিতা মৃত: এম এ মান্নান (শিক্ষক) ।
নিজের সততা ও প্রচেষ্টায় তৈরী করেছেন হাজার হাজার মানুষের জন্য কর্মস্হল ।স্বপ্ন দেখেন দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের। শুধু ব্যবসায়ী নয় একজন দানশীল পরউপকারী মানুষ হিসেবে রয়েছে পরিচিতি।নিজ এলাকায় মানুষের সেবা করার জন্য পিতা মৃত এম এ মান্নান (শিক্ষক) এর নামনুসারে একটি ফাউন্ডেশন তৈরী করা হয়েছে এর মাধ্যমে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে বিভিন্ন সময় শাড়ি কাপড়,লুঙ্গি,ইদ সামগ্রী,ঢেউটিন,নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।করোনা মহামরি সময় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারকে আর্থিক সহোযোগীতা করেছেন।এলাকার মানুষের চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে দিয়েছেন অক্সিজেন। শুধু সাধারন মানুষই নয় স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ।