২৭মে খোলা বাজার অনলাইন ডেস্ক : ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয় গাইবান্ধা এর “হিসাব রক্ষক” পদের পরিক্ষায় অনিয়ম। পরীক্ষার্থী আল আমিন মিয়া তার প্রবেশ পত্র অনুযায়ী ২৬-০৫-২০২৩ ইং তারিখ বিকাল ৩টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয় গাইবান্ধা এর “হিসাব রক্ষক” পদের পরিক্ষায় পরিক্ষা দিতে গিয়ে দেখেন তার নির্ধারিত আসনে “নাজির” পদের পরীক্ষা হচ্ছে।
আসন বিন্যাস অনুযায়ী তার পরিক্ষা দেয়ার কথা ছিল পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের ২৮ নং কক্ষ। ২৮ নং কক্ষে পরিক্ষা দিতে গেলেই শুরু হয় তার মূল সমস্যা। উক্ত কক্ষে গিয়ে দেখেন সেখানে পরিক্ষা চলছে অন্য পদের জন্য। তাই নিজের আসন ভুল ভেবে বার বার আসন বিন্যাস দেখলে তিনি একই কক্ষে যান বার বার, আসন চেক করে বার বার একই রুমে গেলে উক্ত রুমের ডিউটিরত শিক্ষক তাকে বার বার বের করে দেন।
পরে ঐ শিক্ষার্থী উপায় না পেয়ে হল সুপার কে তার সিটের বিষয়ে অবগত করলে হল সুপার মহদয় তাকে একক ভাবে অন্য কক্ষে ‘নাজির পদ’ এর প্রশ্নে ‘হিসাব রক্ষক পদ’ এর পরীক্ষা নেয়।
ভুক্তভোগী আল আমিন মিয়া বলেন,-আমার নির্ধারিত হাজিরা সিটও ছিল না, পরে স্যার সাদা কাগজে ছক টেনে আমার উপস্থিতির হাজিরা স্বাক্ষর নেন এবং পরীক্ষা শেষে জানতে পারি “হিসাব রক্ষক” পদের পরীক্ষা সকালে হয়ে গেছে। তাহলে আমার প্রবেশ পত্রে বিকাল ৩ কেন উল্লেখ করল..??
ভুক্তভোগী আরো জানান, আমার সাথে আরো একজন শিক্ষার্থীর এমন হয়। অবশেষে আমাদের প্রবেশ পত্র অনুযায়ী আসন না দিতে পেরে হল সুপার মহদয় গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অডিটোরিয়াম ১৬ নং কক্ষে পরিক্ষা নেন। আমরা দুজনে ছিলাম ‘হিসাব রক্ষক পদ’ এর পরিক্ষার্থী কিন্তু কতৃপক্ষ আমাদের পরিক্ষা নেন ‘নাজির পদ’ এর পরিক্ষার প্রশ্ন পত্রে। এখন আমার দাবী আমি কি আদৌ রেজাল্ট পাবো আমার পদ ব্যতীত অন্য পদের প্রশ্নে পরিক্ষা দিয়ে?
প্রশ্ন হলো, জেলা ও দায়রা জজ এর মত বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের আইন বিভাগের একটা ‘হিসাব রক্ষক পদ’ এর পরিক্ষায় যদি এমন হয় তাহলে আমরা ন্যায় বিচার আশা করবো কার কাছে।