
তিনি বলেন, ‘এ শহরের অনেক খাল দখল হয়ে গেছে। অনেক মাঠ দখল হয়ে বড় বড় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। খালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ৪০ বছর আগে রূপনগর খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে তুরাগে যাওয়া যেতো। সেনাবাহিনী খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানোর কাজ করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে রূপনগর থেকে তুরাগ পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। প্রকৌশলীরা এটি নিয়ে কাজ করছেন। এজন্য ১১টি সেতু নির্মাণ করা হবে।’
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর সেকশন ১৩ ও ১৪ এলাকায় নর্দমা ও ফুটপাতসহ রাস্তা উন্নয়নকাজের উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এরই মধ্যে মিরপুর ১৩নং সেকশনের অধিকাংশ রাস্তার উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। এ রাস্তাটি বাকি ছিল। এটি নির্মাণের জন্য ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই মিরপুরবাসীর জন্য রাস্তাটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর সেকশন-১৩, ব্লক-সি ও টিনশেড কলোনি এলাকায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ১৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৮ দশমিক শূন্য ৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ৩ দশমিক ৯১ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।’
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরিবেশ বাঁচাতে গাছ লাগাতে হবে। সড়কের বিদ্যমান গাছগুলো না কেটেই উন্নয়নকাজ করতে হবে। আমি জানতে পেরেছি, কিছুদিন আগে মিরপুরের টেকনিক্যাল ক্রসিংয়ে সড়ক বিভাজক নির্মাণকালে অসাধু ঠিকাদার কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছেন। যেহেতু ঠিকাদার সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা অমান্য করে গাছ কেটেছেন, তাই তাকে ডিএনসিসিতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজন প্রকৌশলীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। উন্নয়ন হবে, কিন্তু গাছ কেটে নয়।’