Tue. Oct 28th, 2025
Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি জায়গা, পূজা মণ্ডপ, খেলার মাঠ দখল করে সেবা গ্রীন মডেল ফিলিং এন্ড অটো গ্যাস স্টেশন নির্মান ও মাসুদ স্টিল ডিজাইন বিডি লিঃ নির্মাণসহ পরিবহন ও আদম ব্যবসার অন্তরালে অবৈধ স্বর্ণ চোরাকারবারী এবং ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ত কে.এম. মাসুদুর রহমান ও তার দোসরদের আয় বর্হিভূত হাজার কোটি টাকা ও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।

স্বাধীন সার্বভৌম রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অতন্ত প্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পক্ষে- কমান্ডার রবিউল আলমের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতিবাজ কে.এম. মাসুদুর রহমান এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিতে এই মর্মে আহব্বান জানাচ্ছি। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর নিবাসী মাসুদ উত্তরা নিকুঞ্জে একটি “সেবা ডিপাটমেন্টাল স্টোর” নামে দোকান দিয়ে এর অন্তরালে শুরু করেছিল ফেন্সিডিল, বিয়ার, মদ, গাঁজার ও হেরোইন ব্যবসা। অপরদিকে লক্ষ্মীপুর জেলার জনৈক রফিক উল্লাহর রিক্রটিং লাইসেন্স ফ্লাওয়ার ট্রেড ইন্টাঃ কে ব্যবহার করে মাসুদ আদম ব্যবসার নামে প্রতরনা ও জালিয়াতী করে রফিক উল্লাহকে বিপদে ফেলে, এই শোকে রফিক উল্লাহ ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা যায়, এর পর মাসুদ ভয়ভীতি দেখিয়ে রফিক উল্লাহর পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করে। এই ভন্ড মাসুদ আদম ব্যবসার নামে বিভিন্ন নারী ও শিশু পাচার শুরু করে সেই সাথে হেরোইন ও স্বর্ণ চোরাচালান ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মাসুদ রাতারাতি আওয়ামী লীগ হয়ে কতিপয় অসৎ ব্যক্তিদের ব্যবহার করে, এক পর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী সেলিনা খাতুনকে কৌশলে ব্যবহার করে এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোল্যা কাওছার ও পঙ্কজ দেবনাথ কে মাসোহরা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের অর্থ সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নিয়ে মাসুদ বেপরোয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে বটগাছে রুপ নেয়। এরপর কাওছার মোল্যাকে ব্যবসার পার্টনার বানিয়ে যত্রতত্র তাকে ব্যবহার করে এবং এরই অংশ হিসাবে ক্যাসিনো ব্যবসার সরঞ্জাম আনা সহ অবৈধ ব্যবসা ও চাঁদাবাজীসহ কাওছার মোল্যাকে নিয়ে বিভিন্ন তদবীর বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে ব্যবহার করতে শুরু করে এই মাসুদ, তাছাড়া ইয়াবার বড় বড় চালান সড়ক ও নৌ পথে কখোনো আবার বিমানে করে নিয়ে আসতো মাসুদ ও তার সিন্ডিগেট। মাসুদের শশুর-শাশুড়ী, বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানদের প্রত্যেকের নামে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে।

মাসুদের গোপালগঞ্জ জেলায় বাড়ি হওয়ায় এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের অর্থ সম্পাদক পদ দখলে থাকায় নোমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালকের পদটি ভাগিয়ে নিয়ে রাতারাতি বিভিন্ন ব্যাংক লোন নিয়ে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এই মাসুদ, সব নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাউসার মোল্লা ও সাবেক এক সচিব সিরাজুল হক খান তাদেরকে ব্যবহার করে পার্টনার বানিয়ে সেবাগ্রীন নাম দিয়ে প্রায় শতাধিক বাস নামিয়েছে এবং নিয়ম বর্হিভুত ভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে, এই সেবাগ্রীন লাইন পরিবহন নামে দক্ষিন অঞ্চলে যে গাড়ী নামিয়েছে মাসুদ যার সব গাড়ীতে ইয়াবা আর গাজাসহ নানা ধরনের অবৈধ পন্য পাচার এবং সরবরাহ করে দক্ষিণ অঞ্চলকে মাদকের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছে মাসুদ, মাসুদের রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার পেছনে রয়েছে একজন সাবেক সচিব সিরাজুল হক খান, যিনি মাসুদকে ব্যাপক সহায়তা করেছে এবং এক পর্যায়ে উক্ত সাবেক সচিব মাসুদের ব্যবসায়ীক পার্টনারও হয়েছে, যিনি হলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্ত সচিব সিরাজুল হক খান। কথিত আছে এই সিরাজুল হক যিনি সচিব থাকা অবস্থায় বিদেশী দুটি ফান্ডের প্রায় চারশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এবং সেই টাকা মাসুদের কাছে রেখে তিনি এখন মাসুদের ব্যবসায়িক পার্টনার হয়েছে। উক্ত সচিব বর্তমানে মাসুদের সেবা ফিলিং স্টেশন উত্তরা আশুলিয়া বেড়ীবাধ সংলগ্ন সরকারি জমি দখল করে নির্মিত সেবা ফিলিং ও সিএনজি স্টেশনের পার্টনার, এছাড়া গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর বিশ্বরোডে আকিজ জুট মিল ফ্যাক্টরীর পাশে সরকারী জায়গা সহ বাচ্চাদের খেলার মাঠ দখল করে এবং পূজা মন্ডপের জায়গা দখল করে হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট ও সেবা ফিলিং স্টেশন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাসুদ ও তার পার্টনারেরা। এবং গাজীপুরের হোতাপাড়া বাস স্ট্যান্ড এর পশ্চিমে ফিরোজ আলী নামক স্থানে তিন শত (৩০০) একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে বর্ণীত মাসুদ স্টিল ডিজাইন বিডি লিঃ এবং উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে ৭/৮টি আট তলা নান্দনিক বাড়ি মাসুদ ও তার পার্টনার সিরাজুল হক খানের রয়েছে। এছাড়া গাজীপুর, আশুলিয়া ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সহ দেশের উত্তর ও দক্ষিন অঞ্চলে শত শত বিঘা জায়গা-জমি ক্রয় করেছে, মাসুদ ও তার আত্মীয়স্বজন পরিবার পরিজন এবং সহযোগি পার্টনারদের নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছে, তাছাড়া বিদেশে ও তাদের একাধিক বাড়ি ও সম্পদ রয়েছে যা তদন্তে আরো অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বিগত দিনে মাসুদ ও তার দোসরদের নাম বার বার মিডিয়া এবং আলোচনায় আসার পরেও রহস্যজনক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না!! সমাজের বিবেকবান মানুষের মনে প্রশ্নের দানা বেধেছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশন কি তাহলে দুর্নীতিবাজ মাসুদদের কাছে জিম্মি? না কি কেনা গোলামে পরিনত হয়েছে? সেটাই এখন জাতির জিজ্ঞাসা?

আওয়ামীলীগের বির্তকিত নেতা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক কে এম মাসুদুর রহমানের সেবাগ্রীন মডেল ফিলিং এন্ড অটো গ্যাস স্টেশন গোপালগঞ্জের মুকসেদপুরে হাইওয়ে সংলগ্ন এবং ঢাকার আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবৈধভাবে নির্মিত সেবাগ্রীন ফিলিং ও সিএনজি স্টেশনটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে! এছাড়া গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকার বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে ফিরোজ আলী নামক স্থানে তিনশত একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে মাসুদ স্টীল ডিজাইন বিডি লিঃ, তাকে বর্তমানে সেল্টার দিয়ে যাচ্ছে জনৈক বিএনপির এক কেন্দীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম মোল্লা! দশ কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্টানের শেয়ারের বিনিময়ে লুটেরাজ সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা মাসুদকে সহায়তা করছে বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম! এ কথা এখন ওপেন সিক্রেট!