Sun. Oct 12th, 2025
Advertisements

smখোলাবাজার ঃ অন্যান্য বছরের মতো আগামী শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের পাঠ্যবই পয়লা জানুয়ারিই শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, পয়লা জানুয়ারিতে বই দেওয়ার যে প্রথা আমরা চালু করেছি, তার কোনো ব্যত্যয় হবে না। প্রাথমিকভাবে যে সংকট হচ্ছে তা শিগগিরই কেটে যাবে। এ বিষয়ে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা কোনো সমস্যাই নয়। বিগত বছরগুলোতে হরতাল, অবরোধ, পেট্রোলবোমা মারা হয়েছে। তখনো বই নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সম্মানজনক সমাধান করব। তবে বইয়ের মানের ব্যাপারে কারো সাথে কোনো আপোস চলবে না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র পাল, সচিব ইমরুল হাসান, বিতরণ নিয়ন্ত্রক মোশতাক আহম্মেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
জানা গেছে, প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানো নিয়ে সৃষ্ট সংকট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এনসিটিবি, প্রকাশক ও প্রেস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এনসিটিবি’র মাধ্যমে প্রাথমিকের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ পেয়েছে দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশ্বব্যাংক গত ১৭ আগস্ট বইয়ের মান নিয়ে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়ায় বই ছাপাতে কার্যাদেশ দিতে পারছে না এনসিটিবি। অন্যদিকে প্রকাশক-প্রেস মালিকদের অভিযোগ, বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে মুখ থুবড়ে পড়ছে মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্প।
জানা যায়, প্রাথমিকে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৮৬ কপি বই ছাপানো হবে। ৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ২২১ কোটি টাকায় বই ছাপানোর কাজ করছে দেশীয় ২২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৯ শতাংশ, অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা। এ জন্য কাগজ কেনার পর বিশ্বব্যাংকের কারিগরি শাখার কাগজের মান ও ফর্মা পরীক্ষা এবং উপজেলা পর্যায়ে যাওয়া বইয়ের মান পরীক্ষার শর্ত দেয় বিশ্বব্যাংক। শুধু তাই নয়, মান পরীক্ষার পর সন্তোষজনক হলেই বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

(খোলাবাজার/জিএম/৩১-০৮-২০১৫)