বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এক দশক পরে আবারো মুখোমুখি। বহু যুগ কেটে গিয়েছে পরস্পরের ছায়া মাড়াননি তারা। একে অন্যের নাম শুনলেই প্রসঙ্গ পাল্টাতে দু’বার ভাবেনও না দু’জনের কেউ-ই। এমনকি ব্যক্তিগত এজেন্ট-কেও বলে রাখেন কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার তারিখ এবং সময় এমন ভাবেই সাজানো হয়, যেন অন্য জনের মুখোমুখি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা না তৈরি হয়।
এভাবেই কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। তবে আবার মুখোমুখি হলেন তারা। সালমান খান এবং বিবেক ওবেরয়। চিরঞ্জিবীর ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর গ্র্যান্ড পার্টিতে আরও অনেক তারকার মতো হাজির হলেন তারা। অবাকও হলেন হয়তো। সেই সাংবাদিক বৈঠকের কথা বলিউডের ক’জন সাংবাদিকই বা ভুলতে পেরেছেন, যে সাংবাদিক বৈঠক দাঁড়ি টেনে দিয়েছিল বিবেক ওবেরয়ের কেরিয়ারে।
যে বৈঠকে তিনি দাবি করেছিলেন, সালমান খান তাকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন। কেন হুমকি, কিসের হুমকি- তা এখনও সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। ঠিক যেমন ভাবে এই ঘটনা মনে আছে সালমান খানেরও।
তখন থেকেই বিবেকের কেরিয়ারের পতন শুরু। কেন ওই পতন, সে কথা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে একে একে কাজের অফার কমতে থাকে বিবেকের। তবে বিবেক যে এই ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেননি, তা-ও নয়। সাংবাদিক কিংবা সাধারণ মানুষের সামনেও বহু বার বহু অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন সালমানের কাছে।
তবে সালমান ক্ষমা করেছেন কি না, জানা নেই। কিন্ত্ত ভাগ্যদেবী যে বিবেককে ক্ষমা করেননি, তা তো পরিষ্কার। সে যাই হোক, চিরঞ্জিবীর পার্টিতে দু’জনে অবশেষে একসঙ্গে হাজির। কী করে এই অসম্ভব ঘটনা ঘটলো, তা কেউ-ই জানেন না। কারণ দু’জনেই নিজেদের ব্যক্তিগত সূত্রের মারফত আগে থেকে জেনে নেন, অন্য জন আসছেন কি না। কিংবা এলেও, কখন আসছেন, যাতে এই মোলাকাত এড়িয়ে যাওয়া যায়।
কিন্ত্ত এবার বোধহয় সূত্র পাশ করতে পারেনি। বছর খানেক আগেও অবশ্য এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিবেক পারফর্ম করতে এসেছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন সালমান খান। একই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কারণে বিবেক সেবার সুযোগ পেয়েছিলেন সালমানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার। সুযোগ কাজেও লাগান তিনি।
দর্শকের সামনেই ক্ষমা চান সালমানের কাছে। কিন্ত্ত সালমান বোধ হয় ক্ষমা করতে পারেননি তখনও। তাই এই কথা শোনার পর মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। বিবেক তার পর এই পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সালমান খান তার জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া এক অধ্যায়। এর এত দিন পরে আবার সালমান এবং বিবেক মুখোমুখি। এই ঘটনা একেবারেই আকস্মিক, নাকি দু’জনেই বিষয়টি নিয়ে উদাসীন হয়ে গিয়েছেন, নাকি তারা ঝামেলা মিটিয়ে নিতে চান- তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। পরে যদি আবারও কোনও অনুষ্ঠানে দু’জনেই উপস্থিত থাকেন, তাহলে হয়তো এর উত্তর মিলবে।