Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সম্প্রতি ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নগর’ এবং পরিচালক খিজির হায়াত খানের ‘প্রতিরুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নওশাবা। ছবি দুটি শিগগিরিই মুক্তি পাবে। হাতে তার এখন কোন কাজ নেই। কাজ নেই তো খই ভাজ টাইপের অবসর। কিন্তু নওশাবা খই ভাজছেন না। তিনি কবিতা লিখছেন। কবিতা তিনি অনেক আগে থেকেই লিখতেন। বলতে গেলে সেই স্কুলজীবন থেকে। নিজের টুকরো টুকরো ভাবনাগুলো শব্দ দিয়ে গেঁথে রাখেন। ছোটবেলায় লিখতেন ডায়েরীতে। এখন লেখেন ফেসবুকে। তবে আয়োজন করে নয়, হুটহাট লেখেন। ‘আমি যা লিখি যেগুলো আসলে কবিতা কিনা জানিনা। তবে লিখতে আমার ভালো লাগে। আত্মতৃপ্তি, কষ্ট, আনন্দে লিখি। লেখার পর অন্যরকম মানসিক শান্তি পাই। যেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।’ বললেন নওশাবা।

তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা গেল, তার কোন লেখারই শিরোনাম নেই। কারণটাও জানালেন, ‘ছোটবেলায় ডায়েরী বন্ধু-বান্ধবরা পড়তো। সাংকেতিক অর্থে লিখতাম। কোন শিরোনাম দিতাম না। সবাই লেখাটাকে নিজের মতো করে ভেবে নিত। আমি চেয়েছিলাম সবাই লেখার সঙ্গে কানেক্ট থাক। এখনও সে কারণেই শিরোনাম দেইনা’।

পড়ুন নওশাবার শিরোনামহীন কবিতাৃ

১.
চেষ্টাই করছি আমি, কষ্ট নয়
পার করছি প্রজাপতির কাল

নাকি শুঁয়োপোকার জাল?
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফাঁকে মেঘের চিৎকার
মনে পড়ে সবুজ পাহাড়ে জোনাকীর নির্ঘুম রাত!

ভ্রমণ শুরু করেছিলাম কুয়াশার সাথে,
মাঝ পথে কুয়াশা কেটে ঘামে ভিজে সাদা মেঘে ভেসে

শ্রাবণে নেচে-
আবারও দাঁড়িয়েছি কুয়াশার সন্ধিক্ষণে!!

উজ্জ্বল দেহ অদৃশ্য হয়েছে জংগলের অন্ধকারে
জোনাকীর থেকে শিখেছিলাম আলো দিতে,
নিতে হয় আলো কিভাবে শিখিনি মনে হয়

তাই আমার আলোর ঝুলিতে অন্ধকারের গন্ধ পাই!

আয়নায় দেখি নিজেকে শিল্পের ছায়ায়,
হাত সরালেই প্রতিবিম্ব ঝাপসা হয়ে যায়।
তবুও বিঃশ্বাসের সাথে অভিজ্ঞতার হাতে চোখের মেঘে দেই কাজল লেপ্টে,
তাকিয়ে দেখি কালকের মত আজকেও আমি কাজল পড়েছি পুরোটা চোখ জুড়ে!!

২.
আজ সারাবেলা দেখেছি লালের খেলা
তোর ছোট্ট দু’টি লাল চোখ দিয়েছে মনকে ভীষণ ছুট
তোর হিয়ার কাঁপুণি
সাথে আমার হিয়াও যে থেমে থাকেনি
তুই চলে যেতেই এসেছিলি আমার নিঃশ্বাসের কাছে
একটি ছোট্ট খাঁচা
মরা ঘাসে ঠাসা
রেখেছিল ঠিক নয়নের সম্মুখে
বার বার মনে করিয়ে দিতে, তুই যে মায়ার কায়া
তোকে আপন করে চাইতে মানা
ঘড়ির কাঁটাটি যখন সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছে গেল
হিয়া মোর বেঠিক ভাবে কেঁপে উঠলো
সময় যে নিষ্ঠুর, তার চেয়েও নিষ্ঠুর আমার স্মৃতিশক্তি
তুইও নিজ তরীতে পাড়ি দিলি

“যাস নে”ৃবলে উঠলো কালো চোখদু’টি মোরৃ
লাল চোখে তোর দেখতে পেলাম নতুন করে বাঁচার ঘোরৃ

পাগলী বলিস, কি বেহিসেবী!

আফসোস ছাড়াই চলে যেতে দিতে পারি আমি
কাঁপবে না হিয়া, নড়বে না নয়নের তারা
মায়ায় জড়িয়ে স্মৃতি রবে তোর খাঁচার দুয়ারে
আমার লাল টিপের এই একটিই উপাসনা!

৩.
কচি লেবু পাতার মত একটা ঝিল আমি দেখেছিলাম একদা
একটা ঢিল ছুঁড়তেই তার সব সবুজ করেছিল বেজায় কান্না
যখন কেবল হাঁটতে শিখেছি দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিল এক সূর্য্যমূখী ফুলের সাথে আমার
ফাল্গুণ বয়ে গেছিল সারা দেহমণ করে একাকার
কমলা রোদ ছিল চুলে আমার
চোখে পৌঁছাবার আগেই ধুসর হতে হয়েছিল তার
যতোই রঙ্গের প্রলেপ পড়ুক আমার রোদের শরীরে
জন্মে যা দেখেছি
তাই রেখেছি হৃদয় কোঠরে