Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

12শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চতুর্থবারের মতো শিল্পকলা একাডেমীতে শুরু হল নয় দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য উৎসব-২০১৫’।

শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে শুরু হয় নয় দিনব্যাপী দুই বাংলার এই নাট্য উৎসব।
প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে যৌথভাবে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের বরেণ্য অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার।

এর আগে ‘উজ্জ্বল দিন, ডাকে স্বপ্ন রঙিন’ গানের সঙ্গে নেচে, ফুল ছিটিয়ে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান একঝাঁক নৃত্যশিল্পী।

উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গঙ্গা-যমুনা নাট্য উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ঝুনা চৌধুরী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।

উৎসবকে আকর্ষণীয় ও জমকালো করতে উৎসব প্রাঙ্গণসহ গোটা শিল্পকলা একাডেমী সাজানো হয়েছে নানা রঙের আলোকচ্ছটায়। রং-বেরংঙের বেলুন ও পর্দা ঝুলছে নাট্যশালার গেটে। গাদা ফুলেল পাপড়ি দিয়ে সাজানো চত্বর। নাট্যানুরাগীদের উপচেপড়া ভিড় উৎসবের উদ্বোধনে এনে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা।

নয় দিনের এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৩টি নাট্যদল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

উদ্বোধনকালে ওপার বাংলার নাট্যব্যক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকবার এসেছি এ দেশে। যতবার এসেছি, ততবারই আপ্লুত হয়েছি মানুষের অপরিমেয় ভালবাসায়। প্রথমবার যখন এসেছিলাম, সেবার কেঁদেছিলাম। আমারই মতো সব মানুষ; ভাষা এক, সংস্কৃতিও এক; কিন্তু আমরা দুই দেশের বাসিন্দা। আমাকে তা খুব পীড়া দেয়।’ আবেগঘন বক্তৃতার শেষাংশে খ্যাতিমান এই অভিনেতা আবৃত্তি করে শোনান কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’।

উদ্বোধনপর্ব শেষে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ভারতের নাট্য সংগঠন ‘সংস্তব’ প্রযোজিত নাটক ‘ছাড়িগঙ্গা’। এ নাটকে নান্দনিক অভিনয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। একই সময়ে জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় প্রাচ্যনাটের নাটক ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’।

পশ্চিমবঙ্গ, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ১৮টি নাট্য সংগঠন ও পথনাটক, নৃত্য, আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ৩৫টি সংগঠন বিভিন্ন পরিবেশনা নিয়ে এ উৎসব। এতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাট্যশালার মূল হল ও একই সময়ে পরীক্ষণ হলে পৃথক পৃথক সংগঠনের দুটি নাটক মঞ্চায়ন হবে। নাটক মঞ্চায়নের পূর্বে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে উৎসব প্রাঙ্গণে অন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের নিজস্ব পরিবেশনা উপস্থাপন করবে।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমীর সেমিনারকক্ষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সংবাদপত্র ও সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে একটি প্রীতি সম্মেলনে অংশ নেবেন।

১২ সেপ্টেম্বর শেষ হবে এই উৎসব।