শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
শেষপর্যন্ত তাহলে বিপদেই পড়তে যাচ্ছেন সাইফ আলী খান। এ বিপদ টেনে আনল যে বিষয়টা তার শুরু বা সূত্রপাত ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে। ঘটনাটা ঘটেছিল মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলের রেস্তোরাঁয়। এক প্রবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে তর্কাতর্কি থেকে একপর্যায়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলিউডের অভিনেতা সাইফ আলী খান। বিষয়টা এরপর অনেক দূরই গড়িয়েছিল। অভিযোগ, থানায় যাওয়া থেকে শেষপর্যন্ত আদালতে। মাঝে আদালতের বাইরে দুই পক্ষের সমঝোতা হচ্ছে— এমন কথা শোনা গেলেও এক খবরে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আদালতের বাইরে দুই পক্ষের যে আপস হওয়ার কথা ছিল; অভিযোগকারী ইকবাল মীর শর্মা এখন আর তা চাচ্ছেন না। তিনি চান, আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টার নিষ্পত্তি হোক। আর এ কারণেই বিপদে পড়তে যাচ্ছেন সাইফ।
সাইফ-শর্মা ঘটনার বিষয়ে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনা সম্পর্কে শর্মার বক্তব্য ছিল, তাজের রেস্তোরাঁয় সাইফ আলী খান এবং তাঁর বন্ধুরা তুমুল হইহল্লা করছিলেন। সে সময় ইকবাল শর্মা এর প্রতিবাদ করলে সাইফ তাঁকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার একপর্যায়ে নাকে ঘুষি মেরে বসেন। এতে শর্মার নাকের হাড় ভেঙে যায়। আর এদিকে, এ প্রসঙ্গে সাইফের বক্তব্য ছিল— ইকবাল শর্মা খুবই বাজে মন্তব্য করেছিলেন সাইফের সঙ্গে থাকা এক নারীর প্রতি। শর্মা শুধু সাইফের সঙ্গে থাকা সেই নারীকে উদ্দেশ্য করেই বাজে মন্তব্য করেননি; কারিনা ও কারিশমা কাপুরের সম্পর্কেও বাজে ও কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছিলেন। এর পরেই এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ইকবাল শর্মাও সাইফ ও তাঁর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে কেবল তাঁকেই আঘাত করার অভিযোগ করেননি। সাইফ ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে সে সময় ইকবাল শর্মার শ্বশুরকেও আঘাত করেছিলেন অভিযোগে সে কথাও জানিয়েছিলেন।