রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আলোচিত রানা প্লাজা ধস নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শন ও সম্প্রচারের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক শামীম আকতারের পক্ষে ছিলেন রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও এ এম আমিনউদ্দিন।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড আগেই চলচ্চিত্রটিকে সেন্সর ছাড়পত্র দিয়েছে, সেহেতু সেটি আটকে রাখার সুযোগ নেই। এ কারণে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি সংগঠনের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট ‘রানা প্লাজা’ প্রদর্শন ও সম্প্রচারের ওপর ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সনদের কার্যকারিতাও ওই সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
‘রানা প্লাজা চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের দেওয়া সনদ কেন বাতিল করা হবে না’ জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক শামীম আকতারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি ও সায়মন।
দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত ১৬ জুলাই ‘রানা প্লাজা’র সনদপত্র দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শামীম আকতার প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
এ অবস্থায় গত ২০ আগস্ট ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
রিটে বলা হয়, ১৯৭৭ সালের ফিল্মস সেন্সরশিপ রুলস অনুযায়ী চলচ্চিত্রে কোনো ভীতিকর দৃশ্য প্রদর্শন বা দেখানো যাবে না। কিন্তু এ সিনেমায় বিভিন্ন ভীতিকর দৃশ্য রয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ম মোখলেছুর রহমান।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন প্রযোজক শামীম আকতার।