Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

66 সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
হতাশা, অভিমান, ব্যর্থতা, অপমান, ঝগড়া, দাম্পত্য কলহের মতো নানাবিধ কারণে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। কিন্তু সংগ্রাম করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার নামই জীবন। জীবনে অনেক ভয়াবহ দুর্যোগ আসতে পারে, সেটারও একটা সমাধান কোথাও না কোথাও আছে’- বলছিলেন আসিফ আকবর। গতকাল রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী।

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা বিরোধী দিবস পালনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। সারাবিশ্বে দিবসটি পালিত হলেও বাংলাদেশে এ নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠন ‘ইন্দ্রিয়’র সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন আসিফ। তাদের সঙ্গে রয়েছে তরুণদের সংগঠন ‘দ্য রিপাবলিক অব ইয়াং মিউজিশিয়ান’ বাংলাদেশ (আরওয়াইএমবি)। ইন্দ্রিয় জানিয়েছে, ওইদিন শোভাযাত্রা এবং মানববন্ধন করবে। তবে আসিফ মনে করেন, ‘সংগঠন কিংবা সরকারের পক্ষে এতো বড় কাজ সম্পাদন সম্ভব নয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আত্মহত্যা বিরোধী চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে সবাইকে।’

আসিফ আরও বলেন, ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার এবং সমাজ। কিশোর বয়স থেকেই নানাবিধ কারণে আত্মহত্যা নামক রোগটি যে কারো মনে বাসা বাঁধতে পারে। আশেপাশের কেউ না কেউ বুঝবেই মানুষটি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছে। তখন হাসি-তামাশা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ না করে তাকে আপন করে নিতে হবে, প্রয়োজনে মনোবিদদের শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে।’

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট আত্মহত্যার পরিমাণ ছিলো ৬৫ লাখ, প্রতি বছর গড়ে আত্মহনন করে ১০ হাজার ৪৮৪ জন, প্রতিদিন যা গড়ে ২৮ জন। আত্মহত্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। সবচেয়ে আতঙ্কের ব্যাপার হচ্ছে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৭৫ শতাংশ।