Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

39খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভারতের গীতিকার ও সুরকার আল্লাহ-রাখা রহমানের (এ আর রহমান) বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে মুম্বাইয়ের একটি সুন্নী মুসলিম গোষ্ঠী। তাকে ছাড়াও ইরানের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক মজিদ মাজিদির বিরুদ্ধেও ফতোয়ো দিয়েছে ওই গোষ্ঠী।

রাজা একাডেমি নামে ওই গোষ্ঠীর দাবি, মহানবী হয়রত মুহম্মদ (সা.) এর জীবনী নিয়ে নির্মিত মাজিদির ‘মুহাম্মদ: মেসেঞ্জার অব গড’ সিনেমায় ইসলাম ধর্মকে বিদ্রুপ করা হয়েছে। মহানবীর কোনও ছবি নেই বা রাখা হয়নি। এতে যারা অভিনয় করেছেন তারা পেশাগত অভিনেতা, যাদের মধ্যে কিছু অমুসলিমও রয়েছেন, যারা সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ফতোয়ায় বলা হয়, যেসব মুসলিম বিশেষত মাজিদি এবং এ আর রহমান এ সিনেমার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা পবিত্র ধর্মকে অপবিত্র করেছেন। তাই তাদের আবার কলেমা পড়তে হবে এবং তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান আবার সম্পন্ন করতে হবে।

সিনেমাটি মুসলিম বিশ্ব প্রত্যাখান করেছে বলেও দাবি করেছে ওই গোষ্ঠী।

মাজিদের এই সিনেমাটি বন্ধে গত সপ্তাহে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনাভিসকে লিখিত চিঠিও দিয়েছে এ সংগঠনটি।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী ভিত্তিক ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র ‘মুহাম্মদ: মেসেঞ্জার অব গড’। মুহাম্মদ মাহদি হায়দারিয়ানের প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইরানের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদি। সিনেমাটিতে আবহ সঙ্গীত তৈরি করেছেন এ আর রহমান।

মহানবী (সা.) কে নিয়ে নির্মিত তিনখণ্ডের সিনেমাটির প্রথম খণ্ডে তার মক্কার জীবন তুলে ধরা হয়েছে। ১৭১ মিনিটের এ ছবিটি নির্মাণে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ সিনেমা নির্মাণে ৫৫ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। এ সিনেমার চিত্র ধারণ করা হয়েছে ইরান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার একটি শহরে।

সিনেমাটি নির্মাণে চলচ্চিত্র জগতের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা সহযোগিতা করেছেন। এ আর রহমান ছাড়াও ছবিটিতে কাজ করেছেন ইতালির সিনেমাটোগ্রাফার ভিত্তোরিও স্তোরারো, ইতালির ফিল্ম এডিটর রোবাতো পেরপিগানি, মার্কিন স্পেশাল এফেক্ট শিল্পী স্কট ই অ্যান্ডারসন, ইতালির মেকআপ আর্টিস্ট গিয়ানেত্তো ডি রোসি প্রমুখ।

গত ২৬ আগস্ট নবীবংশের অষ্টম পুরুষ ইমাম রেজার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ইরানে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এ ছাড়া ২৭ আগস্ট কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।