খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এক দশকের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটেছে। হতাশা কাটিয়ে আবার কাজে ফিরেছেন, জড়িয়েছেন নতুন সম্পর্কে। মোট কথা, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নতুনভাবে শুরু করেছেন আবার।
ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেন, “আসলে এখনও বিক্রমের সঙ্গে সেই রকম কিছু ভাবিনি। ভবিষ্যতে কি হবে আমি জানি না। তবে হ্যাঁ, বিক্রম ইজ মোর দ্যান আ ফ্রেন্ড। আমার বিশেষ বন্ধু।”
শ্রাবন্তীর এই ‘বিশেষ বন্ধু’ বিক্রম শর্মা মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী। শ্রাবন্তীর বোনের বন্ধু তিনি। শোনা যাচ্ছিল ‘বুনোহাঁস’-এর মতো সিনেমার এই নায়িকার জীবনের সিদ্ধান্তগুলো নেয়ায় এখন তিনি বেশ প্রভাব রাখছেন। শ্রাবন্তী সাফ জানিয়ে দিলেন, এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।
“আমি আগে যেমন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতাম আজও মারি। হ্যাঁ, পার্টিতে যাওয়া কোনো দিন পছন্দ করতাম না। আজও করি না। সেই ব্যাপারে আমি ঘরকুনো। পার্টিতে যাবার থেকে বাড়িতে বসে টিভি দেখা, চাইনিজ খাওয়া আমার বেশি পছন্দের। আর তা ছাড়া আমাদের একটা গ্যাং অব গার্লস আছেৃ”
সেই গ্যাংয়ের সদস্য হলেন মিমি, সায়ন্তিকা, নুসরাত আর তনুশ্রী।
এরপর অকপটেই বললেন, পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে দশ বছরের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার হতাশায় ভুগেছেন দীর্ঘ দিন।
“ওটা থেকে মানুষ ঠিকই বেরিয়ে আসে। কিন্তু ডিপ্রেশন একটা হয়ই। যদি কেউ বলে ডিভোর্সের পর ডিপ্রেশন হয়নি, তা হলে সে মিথ্যে কথা বলছে। আমার তো অনেক বছরের বিয়ে ভেঙে গেল। প্রায় দশ বছরের। খুব টাফ ছিল ওই সময়টা।”
অল্প দিনের সম্পর্কের পরই গাঁটছড়া বাঁধেন রাজীব-শ্রাবন্তী। তাদের ছেলে ঝিনুক এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে।
শ্রাবন্তী ক্যারিয়ার শুরু করেন স্বপন সাহার ‘মায়ার বাঁধন’ (১৯৯৭) সিনেমার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে রবি কিনাগি পরিচালিত সিনেমা ‘চ্যাম্পিয়ন’ই প্রথম স্বীকৃতি এনে দেয় শ্রাবন্তীকে। এর পাঁচ বছর পর আবারও একই পরিচালকের সিনেমা ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’য় অভিনয় করেন তিনি। এরই মাঝে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন ২০০৩ সালে এবং বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ছেলে ঝিনুকের জন্ম। রাজীবের পরিচালনায় ‘দুজনে’, ‘অমানুষ’, ‘বিন্দাস’সহ পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী।