খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চলচ্চিত্রের নাম ‘রানা প্লাজা’, আইনের মারপ্যাঁচে পড়া এই ছবির প্রদর্শনীর ওপর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা ওঠানো হলো। তবে এবার আর হুট করে মুক্তির তারিখ ঘোষণা দিতে চান না ছবির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান।
এক প্রতিক্রিয়ায় পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জাতির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উঠে আসবে। কিন্তু আমার এই ছবি বারবার আটকে দিয়ে চলচ্চিত্রকেই বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলে যেকোনো সময় ছবি মুক্তির ঘোষণা দেব।’
এর আগে গত ২৪ আগস্ট রানা প্লাজা ধসের ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’র প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন হাইকোর্ট। চলচ্চিত্রটি ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ছবিটি ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেন ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক। কিন্তু এর আগেই, ১০ তারিখ আবারো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ছবিটি।
আবার আজ ‘রানা প্লাজা’র চলচ্চিত্র বন্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে আর কোনো বাধা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে পরিচালক নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে শুধু একটাই কথা বলেছি, আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। সরকারের বা আমাদের দেশের কোনো ক্ষতি হয়, এমন কিছু করিনি।
ছবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছি। আমার ছবি কেন মুক্তি পাবে না? আইনের প্রতি আমরা সব সময়ই শ্রদ্ধাশীল। আমরা জানতাম, বিষয়টি আমাদের পক্ষে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি ছবিটি মুক্তি পাবে। আজই বিষয়টি সবাইকে জানাব।’
নায়িকা পরী মণি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস হয় না, রানা প্লাজা মুক্তি পাবে। যেকোনো সময় আবারো শুনব, ছবিটি আবারো আটকে গেছে। উৎসাহ এখন ভয়ে পরিণত হয়েছে। ছবিটি নিয়ে দর্শক যেমন আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে, ছবিটি আমার কাছে সন্তানের মতো। এই সন্তানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দেখি, ছবিটা শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায় কি না। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আর কিছু বলার নেই।
ছবির নায়ক সায়মন বলেন, ‘এই ছবিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো কিছু নেই। সমাজবিরোধীও কিছু নেই এতে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই ছবিটি করেছি। তবে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। কারণ, যেকোনো সময় ছবিটি হয়তো আবারো নিষিদ্ধ হতে পারে।’