খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সকাল গড়িয়ে দুপুর। বিকেল গড়াল সন্ধ্যায়, ‘তিনি আসবেন’। সন্ধ্যা গড়াল রাতে, ‘তিনি আসছেন’। শেষ খবর, ‘তিনি বোধহয় আজ আর আসছেন না।’ মধ্যরাত অবধি এভাবেই অপেক্ষায় ছিল উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রাস্তার ৬০ নম্বর বাড়িটি। বুধবার সকাল সকাল এক সাংবাদিক গা চমকে দিলেন, ‘জানেন তো, এই বাড়িটি নিয়ে মিথ আছে। কে যেন আত্মহত্যা করেছিল এখানে! তারপর থেকে।’ দিনের বেলা হেসে খেলে উড়িয়ে দেওয়া গেল সাংবাদিক বন্ধুটির ভূতুড়ে গল্প। যা’ হোক, বাড়ি ভর্তি কাজের মানুষ, পরিচালক, নায়ক ও অন্যান্য অভিনয়শিল্পী, ক্যামেরাম্যান, লাইটের লোকজনসহ দুনিয়ার মানুষ। ও, আরও হাজির ১০-১৫ জন সাংবাদিক, টেলিভিশন-দৈনিক পত্রিকা-অনলাইন মিলিয়ে। শুধু তিনিই নেই। তিনি শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি, সুন্দরীতমা। মায়ের লেখা গল্পে, মায়ের প্রযোজনায় তিনি নতুন করে অভিনয়ে ফিরছেন ‘একই বৃন্তে’ নাটকের মাধ্যমে। ‘অভিনয়ে ফিরছেন তিন্নি’— দেশীয় শোবিজের সবশেষ আনন্দের সংবাদ এটি। হিটও প্রচুর। প্রথম দিন দুপুর থেকে রাত অবধি টানা শুটিং করেছেন। দ্বিতীয় দিন কী যে হলো! সারাদিনে তার পাত্তাই পেলেন না পরিচালক। তিন্নি অথবা তার মায়ের সঙ্গে দফায় দফায় কী কী সব কথা হয়েছে নাট্য নির্মাতার। সুজন শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বারবারই জানাচ্ছিলেন, ‘তিন্নি আসবেন’ বা ‘আসছেন’। নির্মাতার আগের দিনের আশ্বাস আর ঘটনার দিনের ‘আসছেন’ ‘আসবেন’ শব্দ দুটির ওপর ভরসা করে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন বিনোদন সাংবাদিকরা। তিন্নি তাদের হতাশই করলেন, না জেনেই। এটা ঠিক যে, তিন্নির সঙ্গে মোবাইলফোনে তারা কথা বলেননি। অনেক দিন পর তাকে শুটিংস্পটে পাওয়া যাবে, আড্ডাচ্ছলে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে, রয়েসয়ে ফটোসেশন করা যাবেন এটুকু অগ্রিম ভাবনা ধূলিসাৎ হয়ে গেল। তিন্নি শুটিং ঝুলিয়ে দিলেন। মা ক¯‘রী মজুমদারের প্রযোজনার নাটকের ৪-৫টি দৃশ্য শেষ করতে সুঅভিনেত্রী তিন্নির বড়জোর দুই ঘণ্টা লাগার কথা। প্রথম দিনের কাজের অভিজ্ঞতায় এমনটাই শোনা গেল শুটিং ইউনিটের মানুষদের মুখে মুখে। প্রথমদিন তিন্নি এতটা মানিয়ে গুছিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন, দ্বিতীয় দিনটি ভেস্তে গেল তারই কারণে! মেলে না। তবে কীৃ? না। তিন্নি সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তাই করতে চাইছেন সবাই। অভিনয়ে ফিরে আসাটা তার জন্যই বেশি জরুরি। জনপ্রিয়তার তুঙ্গস্পর্শকারী এই শিল্পী অভিনয়ে ফিরে এসে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবেন- এমন প্রত্যাশা থেকে এই পক্ষপাত। ‘একই বৃন্তে’ নাটকে তিন্নির সহশিল্পী নীরব যেমনটা বলেছেন, ‘অভিনেত্রী তিন্নি আগের মতোই আছেন, অদ্বিতীয়, অসাধারণ। ওর কালকের অভিনয় দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। ওর নতুন যাত্রা শুভ হবে, বন্ধু হিসেবে এ প্রত্যাশাই করি।’ অনুমান করা যায়, বড় কোনো কারণে তিন্নি শুটিং স্পটে আসেননি। ভূতুড়ে শুটিং বাড়ির এই ছোট্ট ঘটনাটিও রহস্যে ঘেরা থাক। তিন্নি ফিরুন, তবু, তারপরওৃ