Tue. Sep 16th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
64পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে কোরবানীর পশু আসতে শুরু করছে। ধীরে ধীরে জমে উঠছে পশুর হাট।
শনিবার থেকে রাজধানীতে পশুবাহী ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীতে পশু আমদানি শুরু হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, র্নিধারিত সময়ের আগেই হাটে আসছে পশু। বেপারীরা আগে থেকেই নিজেদের পশু রাখার জন্য জায়গা দখল করে রাখছেন।
ইজারাদাররা বলছেন, যেভাবে হাটে কোরবানীর পশু আসতে শুরু করেছে তাতে এবার গরুর সংকট হওয়ার আশংকা নেই। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবার গরু, ছাগল ও মহিষ বেশি আসছে দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও যশোর এলাকা থেকে। কুড়িগ্রাম ও যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকেও কম-বেশি গরু আসছে।
যশোর কাস্টম এক্সাইজ অ্যাণ্ড ভ্যাট বিভাগীয় শুল্ক কর্মকর্তা হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ভারত সরকারের কড়া নজরদারি থাকায় খুব বেশি গরু সেখান থেকে আসছে না। তবে উটের আমদানি নেই বললেই চলে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার রাজধানীতে গাবতলীসহ ১৬টি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। অনুমোদিত হাটগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬টি পশুর হাট বসছে।
এসব হাটে গরু আনতে পথে পথে চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গরু ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া পথিমধ্যে গরুর ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।
হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতারা জানান, মানবিক কারণেই নির্ধারিত সময়ের আগে আসা ব্যাপারীদের হাটে ঢুকতে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর হাটগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশ অনুযায়ী ঈদের চার দিন আগে থেকে নগরীর অস্থায়ী পশুহাট বসার কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগেই হাটগুলোতে গরু আসা শুরু হয়েছে। ব্যাপারীরা জানান, ঈদের দুই-তিন দিন আগে হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- হাটে ঈদের আমেজ বইতে শুরু হয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেঁড়া ও উট রাখতে হাটগুলোতে পৃথক স্থান নির্ধারণ রয়েছে। নানা রঙে সাজানো হয়েছে ব্যানার, গেইট। যেন পাল্টে গেছে রাজধানীর চেহারা। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা।
রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুরহাট গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায়, মূল হাটে গরু রাখার আর কোনো জায়গা খালি নেই। হাটের বর্ধিতাংশে কোরবানির পশু রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পশু কিনতে আসা ক্রেতাদের দাবি, হাটে এখনও পর্যাপ্ত পশু না আসায় বেশি দাম হাঁকছেন ব্যাপারীরা।
গাবতলী গরুর হাট পরিচালনা পরিষদের সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, এবার আগেভাগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা কোরবানীর পশু আনতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।
তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় গাবতলীর হাটে যেভাবে গরু বেচা-কেনা হয় সেভাবেই হচ্ছে। তবে শিগগিরই কেনা-বেচা জমে উঠবে বলে আশা করছি।