খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ঈদের বাকি আর ৪দিন। আপনজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তাই আগেভাগেই শুরু হয়েছে ঘরে ফেরা। তবে প্রথম দিনেই বৃস্টি আর যানজটের কবলে পড়ে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। ঈদে স্বাচ্চন্দে ভ্রমণের জন্য অনেকেই আগেভোগেই চলে যাচ্ছেন বাড়িতে। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে যারা ঈদ করতে যাবেন তারা স্ত্রী সন্তানদের আগেভাগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। রোববার থেকে ট্রেনের ঈদ যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা প্রথমদিন ১৫ সেপ্টেম্বর টিকিট কেটেছিলেন তারা আজ ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। তবে হঠাৎ প্রবল বর্ষণ ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির মাত্রাটা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রোববার সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের কারনে যারা ষ্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য রওনা হয়েছিলেন তাদের সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভিজতে ভিজতে স্টেষনে নিয়ে ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের। তবে ট্রেনের সিডিউল রোববার পর্যন্ত ঠিক আছে। সকালে কমলাপুর থেকে একতা এক্সপ্রেস পৌনে একঘন্টা দেরীতে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া নীল সাগর এক ঘন্টা লেটে দুপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি ও আধাঘন্টা বিলম্বে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এদিকে যারা বাসে করে ঢাকা ছেড়ে গেছেন তাদের ভোগান্তির মাত্রাটা আরো বেশী বলে জানা গেছে। যানজটের কারনে গাবতলী টার্মিনাল থেকে কোন যাত্রীবাহী কোচ সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে পারেনি। প্রত্যেকটি গাড়ি এক থেকে তিন ঘন্টা বিলম্বে ঢাকা ত্যাগ করেছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারনে গাড়ীগুলো যাতায়াতে অনেক সময় লাগছে। বিশেষ করে গরুবাহী ট্রাকের কারনে কোচ এবং বাসগুলোকে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও এবার মহাসড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করছে। তারওপর সাগরে নিম্নচাপের কারনে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারন করেছে। আগামী ঈদের আগে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট লাঘবের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। একইসাথে ঢাকা টাঙ্গাইল ও আরিচা মহাসড়কের একই অবস্থা।