Sat. Aug 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
77আলোচিত ও সমালোচিত নাম নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য, কার্যকলাপ এবং আচরণের কারণে বিতর্কিত তিনি। দেশের অন্যতম আলোচিত ঘটনা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করেন নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী।
তবে রূপালী জগতের নায়িকা হলেও সম্প্রতি ধর্মেও মতি ফিরেছে তার। হঠাৎ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি। নানা ইসলামিক দিক নিয়ে দিয়ে থাকেন স্ট্যাটাস। তার এই স্ট্যাটাসের বিপরিতে বেশির ভাগ ভক্তই পজেটিভ কমেন্টস করেছে।
হ্যাপির স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো:
পর্দা করলে আধুনিক ও স্মার্ট প্রমান করা যায় না।
আস্সালামু আলাইকুম
আমরা যখন বাইরে বের হই তখন আমরা খুব আধুনিক হয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করি এবং এই ভেবে যে, সবাই যেন আমাকে দেখে মুগ্ধ হয়, আশেপাশে সবাই যাতে হা করে তাকিয়ে থাকে!
দূর্বল ঈমানের পুরুষেরা এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলবে ” ওরে দোস্ত মাইয়াটারে দেখছোস্ত উফফফ! কি ফিগার!” এসব শুনে কেউ হয়তো গর্বিতবোধ করে মুচকি হেসে চলে যাব, কেউ তাদের সাথে ঝামেলা করে বলবে- ” বাসায় মা বোন নাই? ছোটলোক কোথাকার! ” , কেউ চড় ,থাপ্পড়, মারামারিও শুরু করে দিতে পারে, কেউ আইনী ঝামেলা করবে ইত্যাদি।
আমরা মুসলিম মেয়েরা বিশাল বিশাল বিশাল নখ রাখতে পছন্দ করি। দেখলেই মনে হতে পারে রূপকথার গল্পের কোন ডাইনি বুড়ি (যার ইয়া বড় বড় নখ)। সেই নখে আবার বাহারি নকশার নেইল আর্ট! নখ কোনো কারনে ভেঙ্গে গেলে কান্নাকাটি করে অস্থির অবস্থা!
চুল কেটে, চুলে কালার করে,ভ্রু প্লার্ক করে আরও সুন্দরী হওয়ার ব্যাপক চেষ্টা। নিজেকে আধুনিক প্রমানের কত কষ্ট! এক প্রকার বলা যায় বিউটি ট্রিটমেন্টের নামে নিজের শরীরে ওপর অত্যাচার করা!
অনেক মুসলিম মেয়েরা নানা ঢঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করতে থাকেন। দুই চারটা সস্তা কমেন্টের জন্য। অনেকে অর্ধনগ্ন ছবি দিয়ে নিজেকে বিশ্বসুন্দরী প্রমান করতে চান। কেউ আবার বাংলাদেশের মত মুসলিম কান্ট্রিতে জন্মেছেন বলে দেশকে গালি দিয়ে উদ্ধার করেন, কারণ আপনি অনেক সময় চাইলেও ইউরোপ আমিরাকার দেশগুলোর মেয়েদের মত চলতে পারছেন না ।তবে ঐ রকম চলার জন্য খুব চেষ্টা করছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
আচ্ছা আমার মুসলিম বোনেরা, আপনারা কেন এসব করছেন? নিজের ভাল পাগলেও বোঝে।তাহলে আমি/আমরা সুস্থ মানুষ কেন বুঝবো না?ইসলামে নারীদের পর্দার সাথে চলতে বলা হয়েছে। আপনি বেপর্দায় চলাফেরা করে আল্লাহর আদেশ অমান্য করছেন? অথচ এই দেহ, এই আত্বা সবকিছুরই মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা।নিজের বলে কিছু নেই। আপনি কার জন্য খোলামেলা পোষাক পরে ,সেজেঁগুজে ,পরিপাটি হয়ে বের হচ্ছেন? অবশ্যই বাবা-মা,ভাই-বোন কিংবা স্বামীর জন্য নয়। স্বামীর জন্য হলে সেটা শুধুই ঘরের মধ্যে। তাহলে ? অন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য? আপনি আল্লাহর আদেশ অমান্য করছেন, এর জবাবাদিহি কিভাবে দিবেন আল্লাহর কাছে? একবার ভাবুন ইসলাম কিভাবে নারীদের চলতে বলেছে।
বেপর্দায় চললে মানুষ নোংরা চিন্তা দিয়ে আপনার শরীর পরিমাপ করার সুযোগ পাবে, আপনার সৌন্দর্যকে কামনার বাসনার বস্তুতে রুপান্তর করবে। আর দুঃখের বিষয় এই যে , সুযোগটা আপনিই তৈরি করে দিচ্ছেন। এবং এই পাপের জন্য ভয়ংকর শাস্তি নির্ধারিত।
এই সৌন্দর্য্য চিরস্থায়ী নয়। মাটির নিচে সব পচেঁগলে একাকার হয়ে যাবে। বস্তা বস্তা কমেন্ট কোনো কাজে আসবে না বরং আল্লাহর আদেশ অমান্য করার জন্য কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে।

অন্যরকম