Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫: সারাদেশের ৪৮টি সিনেমা হলে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অনন্য 6মামুন পরিচালিত ‘ভালোবাসার গল্প’। ছবিটি মুক্তির আগেই অনন্য মামুন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, কেউ তার এই ছবির গল্প নকল প্রমাণ করতে পারলে তাতক্ষণিক হল থেকে ছবি নামিয়ে ফেলবেন। মামুনের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে প্রথমেই দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগবে, হরহামেসা যেহারে নকল ছবি দেখছি, না জানি কি আছে এই ছবিতে! শুক্রবার সন্ধ্য ৬টা। কাকরাইল মোড়ের সিনেমা হলের সামনে বেশ ভিড় দেখা গেল। বোঝা যাচ্ছে দর্শকের সমাগম। একদিকে অনন্য মামুনের চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে ঢালিউড নায়ক আনিসুর রহমান মিলন ও কায়েস আরজুর অভিনয়। নতুন নায়িকা মুনিয়া আফরিনকেও দেখতে এসেছেন অনেকে। হলে ঢুকে দেখা গেল, হল মোটামুটি পরিপূর্ণ। কাকরাইল পাড়ায় প্রচলিত কথা আছে, শুক্রবার নাকি সব ছবিতেই বেশি দর্শক হয়। ছবি শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠলো। হলজুড়ে পিনপতন নীরবতা। এরপর ছবির শুরু। কিছুক্ষণ পরপরই দর্শকের হাততালি, আর হৈ-হুল্লোড়, চিৎকার। এক নিম্ন বিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভালোবাসার গল্প। অনন্য মামুন কখনই ছবি মুক্তির আগে গল্প ফাঁস করেন না। তাই এই ছবির গল্পও সবার অজানা। সাধারণত কোনো ছবির সঙ্গে গল্প মিলে গেলে দর্শকই চিৎকার করে বলেন ‘নকল’, ‘নকল’। তেমন কোনো আওয়াজও শোনা গেল না। ছবিতে আনিসুর রহমান মিলনের চরিত্রটির নাম মাসুম, আর মুনিয়া আফরিনের চরিত্রটির নাম পাখি। ছোট করে গল্পটা বললে বলা যায়, মাসুম আর পাখির ‘ভালো বাসার গল্প’ নিয়েই পুরো ছবি। সেই ছোট বেলা থেকে পাখির পরিবারের ভার নেই ছেলিটি। ক্লাসে ফাস্ট হওয়া ছেলেটি নিজের পড়ালেখা নষ্ট করে পাখিকে মেডিকেল কলেজে দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। কলেজে গিয়ে পাখি ধন-সম্পদের লোভে প্রেমে পড়ে আরজুর। মাসুম ভালোবাসার এই প্রতারণা মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। শেষে কোর্টের শরণাপন্ন হয়। ভালোবাসার প্রতারকদের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করেন। ছবিটির এতদূর আসার পরই পর্দায় আগমন ঘটে মিশা সওদাগরের। খলনায়ক হিসেবে নয় একজন সৎ এ্যাডভোকেট হিসেবে। মধ্য বিরতির পরই গল্পটা বাঁক নেয় অন্যমাত্রায়। ছবি শেষ হবার পরে বেশ কয়েকজন দর্শকের অভিমত জানতে চাওয়া হয়। শান্তিনগর থেকে রাজমনি সিনেমা হলে আসা আবির নামের এক দর্শক বলেন, ‘গল্পটা পুরোপুরি এই সময়ের গল্প বলে মনে হয়েছে। কাছের মানুষের কাছ থেকে আঘাত পেয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেন। অনেকেই পাগল হয়ে যান। গল্পের প্রধান ম্যাসেজ ছিল, ভালোবেসে যারা প্রতারণা করে তাদের বিচার হোক। আমিও একই কথা বলব, ভালোবাসার প্রতারকদের বিচার হোক।’ ছবিতে পজেটিভ ক্যারেক্টারে অভিনয় করেছেন ডন ও মিশা সওদাগর। আনিসুর রহমান মিলন অভিনয়ের দিক দিয়ে ছাড়িয়েছেন নিজেকেই। তাকে নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা, তিনিতো ভালো অভিনয় করবেনই। ছবিটির গানগুলোও সুন্দর। কিন্তু ছবির গল্প ছাপিয়ে গেছে গানকে। প্রথম ছবি হিসেবে মুনিয়া আফরিনের অভিনয় ভালোই ছিল। ছবি প্রসঙ্গে অনন্য মামুন বলেন, ‘ভালো একটা ছবি দর্শকদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ছবি মুক্তির প্রথম দিনতো ভালো সাড়া পেলাম। আমার বিশ্বাস যারা ছবিটি দেখবেন তারা ছবিটির কথা অন্যদের বলবেন।’ আনিসুর রহমার মিলন বলেন, ‘ছবিটি দেখে শুক্রবার অনেকেই ফোন করে সাধুবাদ জানিয়েছে। আমি মুগ্ধ হয়েছি। যারা এখনও ছবিটি দেখেননি তাদের ছবিটি দেখার অনুরোধ রইল।’ ছবির গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম, শফিক তুহিন, সালমা, নন্দিতা, অরিন, প্রতীক হাসান ও লুৎফর হাসান। এস এস মাল্টিমিডিয়া হাউসের এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন তানিয়া, মুনিরা মিঠু প্রমুখ।