খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫: মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৫ বছর। কিন্তু অর্ধ শতক আগেই সেলুলয়েডে আঁকা হয়ে গেছে চমকে দেওয়া লাল চুল, স্বচ্ছ-সবুজ চোখ ও মসৃণ ত্বকের আবেদন। তাকে বলা হতো ‘দ্য কুইন অব টেকনিকালার’। এ উপাধি দিয়েছিলেন স্বয়ং টেকনিকালারের আবিস্কারক ড. হার্বাট কালমাস। যার কথা বলছি, তার নাম মুরেন ও’হারা। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে এ আইরিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পারিবারিক নাম মুরেন ফিটসিমনস। সিনেমার জন্য ধার করে ও’হারা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণভাবে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। পাশে ছিল পরিবার। বিখ্যাত অভিনেতা জন ওয়েন ও পরিচালক জন ফোর্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুরেন উপহার দিয়েছেন ক্লাসিক কিছু সিনেমা। আরও অভিনয় করেছিলেন জিমি স্টুয়ার্ট ও হেনরি ফন্ডার সঙ্গে। মুরেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে দ্য হাঞ্চব্যাক অব নটর ডেম (১৯৩৯), হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি (১৯৪১), মিরাকল অর থার্টিফোর্থ স্ট্রিট (১৯৪৭), রিও গ্র্যান্ড (১৯৫০), দ্য কুয়ায়েট ম্যান (১৯৫২), দ্য উইংস অব ঈগলস (১৯৫৭), আওয়ার ম্যান ইন হাভানা (১৯৫৯) ও দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ (১৯৬১)। এর মধ্যে হাউ গ্রিন ওয়াজ মাই ভ্যালি ও দ্য কুয়ায়েট ম্যান সেরা সিনেমার অস্কার লাভ করে। ও’হারা ২০১৪ সালে সম্মানজনক গভর্নরস এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ১৯৪০ এর দশকে টেকনিকালারের রমরমা সময়ে ও’হারা একের পর পর হিট সিনেমা উপহার দেন। এর মধ্যে টু দ্য সোরস অব ট্রিপলি (১৯৪২), দ্য ব্ল্যাক সোয়ান (১৯৪২), দ্য স্পেনিস মেইন (১৯৪৫) উল্লেখযোগ্য। টেকনোকালারের সঙ্গে তাকে একদম মানানসই মন্তব্য করা হয় দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। তিনি যেন ঝলমলে সূর্য হয়ে আলোকিত করতেন রূপালি পর্দা। ওই সময় তাকে ‘দ্য কুইন অব টেকনোকালার’ উপাধি দেওয়া হয়। মুরেন ও’হারা ১৯২০ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। কিশোরবেলায় অভিনয়ে তার আগ্রহ জন্মে। লন্ডন হয়ে একসময় তিনি হলিউডে থিতু হন। অভিনয় করেন আলফ্রেড হিচককের ‘জ্যামাইকা ইন’ (১৯৩৯) চলচ্চিত্রে। তাকে ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল ও টেলিভিশনেও দেখা যায়। গানের গলাও ছিল চমৎকার। প্রকাশ করেন তিনটি গানের এ্যালবাম। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০০০ সালে, সিবিএস টেলিফিল্ম ‘দ্য লাস্ট ড্যান্স’-এ।