খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫ : অভিনয় জীবনে সবাই প্রায় বহুরূপী রূপ ধারণ করে। ভক্তদের আনন্দ দিতে কিংবা থিম ফুটিয়ে তুলতে অথবা চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়শিল্পীদের মায়ারূপ ধারণ করতে হয়। অবশ্য এটি শিল্পের পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু বাস্তবেও বহুরূপ!
হ্যাঁ, এবার বাস্তবে ভিন্ন রূপে আসছেন বিদ্যা। নায়িকা থেকে একধাপে কুলি হিসেবে নিজেকে রাস্তায় দাঁড় করাচ্ছেন এই হট গার্ল। অবশ্য এর আগে নানা চেহারায় তাকে দেখেছেন ভক্তরা! ভিখিরি থেকে শুরু করে জ্যোতিষী—প্রায় কোনও কিছুই সাজতে বাকি রাখেননি বিদ্যা বালান! তাই বলে কুলি? তাও সিনেমায় নয়, বাস্তব জীবনে? এমন প্রশ্ন কোটি দর্শকের মনে ভিড় করেছে।
সিনেমায় কুলি সাজলে না হয় ব্যাপারটাকে ফিমেল শাহেনশাহ রূপ বলে ধরে নেয়া যেত! কিন্তু, সত্যি সত্যি কেন মোট কাঁধে তুলছেন বিদ্যা? তার তো এ রকম কায়িক পরিশ্রমের কোনও প্রয়োজন নেই বলেই! তার তো কুলির কাজ করার মতো দারিদ্র্যতা নেই। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
বিদ্যাকে কুলির জীবন কাটাতে বাধ্য করেছে ছোটপর্দার এক রিয়্যালিটি শো। নাম ‘মিশন সপনে’। এই শো-তে সেলিব্রিটিরা এক দিনের জন্য সাধারণ মানুষের জীবন কাটান। তাদের পেশা বেছে নেন এক দিনের জন্য। যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সাহায্য করেন সেই মানুষটিকে।
সেই শো-তে যোগ দিয়েই বিদ্যা পা রাখতে চাইলেন রাজস্থানের প্রথম নারী কুলি মঞ্জুর জুতোয়। আর মঞ্জুর জীবন কাটাতে গিয়েই চোখ খুলে গেল নায়িকার। বিদ্যা বলছেন, ‘আমরা সেলিব্রিটিরা বেশির ভাগ সময়েই ভুলে যাই সাধারণ মানুষের জীবনে কতটা লড়াই থাকে। মঞ্জুর কাজ করতে গিয়ে সেটাই আমি নতুন করে উপলব্ধি করলাম। মঞ্জুর কাজটা মোটেও সহজ নয়। মেয়েরাও যে কুলি হতে পারে, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ক’জন সেটা ভাবতে পারেন?’
তবে কুলি হিসেবে উপার্জিত টাকা দিয়ে তিনি কী করবেন? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা বলেন, ‘ওটা মঞ্জুকে দেয়া হবে। যাতে মঞ্জুর ছেলে-মেয়েরা ভালভাবে পড়াশোনা করে বড় হতে পারে সেজন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’