খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৫: শুরুর ঝামেলাটা পাকিয়েছিলেন ডেভিড ম্যুলারই। এখন সে ঝামেলা উল্টো তাঁর কাঁধেই চাপতে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে কলোরাডো রেডিওর সাবেক ডিজে ডেভিড ম্যুলার মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন পপসংগীত তারকা টেইলর সুইফটের বিরুদ্ধে। এবার ম্যুলারের বিরুদ্ধে মানহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা করেছেন সংগীতশিল্পী টেইলর সুইফট।
২০১৩ সালে পপসংগীত তারকা টেইলর সুইফটের সঙ্গে ছবি তোলার সময় যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেছিলেন এমন অভিযোগে চাকরি হারিয়েছিলেন ম্যুলার। চাকরি হারানোর পর আত্মপক্ষ সমর্থন করে সুইফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ম্যুলার। এবং সে মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ম্যুলার জানিয়েছিলেন, তিনি এমন কোনো কাজ করেননি।
এদিকে, ম্যুলারের বিরুদ্ধে টেইলর সুইফটের এই পাল্টা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ম্যুলারই যে যৌন হয়রানি ঘটিয়েছিলেন বিষয়টি টেইলর সুইফট সে সময় স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন। ম্যুলারই সেই ব্যক্তি যিনি এ অপকর্মটি করেন। ছবি তোলার সময় তিনি অশালীনভাবে সুইফটকে স্পর্শ করেছিলেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির এই বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর বিধায় এবার বেশ বিপাকেই পড়তে যাচ্ছেন ম্যুলার। শুধু চাকরি হারানোই নয়, সম্ভবত মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে যাচ্ছে তাঁর।
এদিকে, টেইলর সুইফট ঘোষণা দিয়েছেন, এ মামলায় ক্ষতিপূরণ বা ম্যুলারের কাছ থেকে জরিমানার যে টাকাটা পাওয়া যাবে, তিনি সেই টাকা নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কাজ করছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দান করবেন।
টেইলর সুইফট (টেইলর অ্যালিসন সুইফট) তাঁর গানে ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতাই বর্ণনা করে থাকেন। তিনি ন্যাশভিলে সং রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সং রাইটার্স হল অব ফেমের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন গীতিকার হিসেবে। টেইলর সুইফট (২০১৪ সাল পর্যন্ত) সাতটি গ্র্যামি পুরস্কার, ১২টি বিলবোর্ড মিউজিক পুরস্কার, ১১টি কান্ট্রি মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার ও সাতটি একাডেমি অব কান্ট্রি মিউজিক পুরস্কার পেয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় এই পসংগীত তারকা জন্মেছিলেন ১৯৮৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। টেইলরের গানের শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। তিনি বিগ মেশিন রেকর্ডসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ২০০৩ সালে। সে সময় সর্বকনিষ্ঠ গীতিকার হিসেবে সনি ও এটিভি মিউজিকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। টেইলর সুইফটের প্রথম অ্যালবামটির নাম ছিল ‘টেইলর সুইফট’। এ অ্যালবামের সবগুলো গানই ‘কান্ট্রি সং’ ধাঁচের। অ্যালবামটি তাঁকে দ্রুত তারকাখ্যাতি এনে দিয়েছিল।