খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : পর্দায় তাঁকে যে রূপেই দেখা যাক না কেন, নিজে কিন্তু একেবারেই সে রকম নন তিনি। লিভ -ইনে পুরোপুরি নারাজ। কেন? বললেন কঙ্গনা রানাওয়াত
তা সে যতই নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করুন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আদ্যন্ত ‘ট্র্যাডিশনাল’ কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি এরকমটাই জানিয়েছেন তিনি। ‘কাট্টি বাট্টি’ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে। কিন্ত্ত ব্যক্তিগতভাবে কঙ্গনা নিজে কতটা ইচ্ছুক লিভ-ইন-এ? একেবারেই ইচ্ছুক নন। তাঁর মতে, যদি কারও সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে বিয়ে করে নেবেন।
‘কুইন’-এর পর কঙ্গনা বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাই শুধু নন, ইউথ আইকনও। নতুন প্রজন্ম যখন অনেক কিছুই নতুন করে ভাবছে, সম্পর্কের বিষয় নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে, কঙ্গনা কিন্ত্ত তখন ১৮০ ডিগ্রি উল্টো দিকে। ‘আমি একটু ওল্ড স্কুল। এখন যা নতুন প্রজন্মদেরই মধ্যে খুব জনপ্রিয়, তার অনেকগুলোই কিন্ত্ত আমার জন্য নয়। লিভ-ইনও সেই তালিকায় পড়বে’, বলেছেন তিনি।
কিন্ত্ত এই মন্তব্যের সূত্র ধরেই কঙ্গনারঅতীতের প্রসঙ্গও এসেছে। অনেকেরই মনে আছে, বলিউডে কেরিয়ার বানাতে আসার পর কঙ্গনা এক অভিনেতার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন বলেই শোনা গিয়েছিল। যা নিয়ে পরবর্তীকালে রীতিমতো জলঘোলাও হয়। কারও নাম না করে, কঙ্গনাও বলেছেন, কেরিয়ার শুরু গোড়ায় তিনি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। ‘আমার জন্য পরের লেভেলটা কখনওই লিভ-ইন নয়। পরের লেভেল অবশ্যই বিয়ে। আমি নিজের আঙুল পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। এমন ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়েছিল কোনও একজনের সঙ্গে। তাই আর নয়। অনেক হয়েছে’, বলেছেন তিনি। সেই কারণেই এই প্রজন্মের মেয়েদের জন্য পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। ‘কমবয়সী মেয়েদের আমি সাবধান করব। কোনও মানুষকে চেনার জন্য সময় নাও। তাড়াহুড়ো করো না। তাড়াহুড়ো করলে পরে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। যা তোমার অনেকটা সময় নষ্ট করে দেবে’, বলছেন কঙ্গনা। এমনকী তিনি বলছেন, জীবনে কোনও মানুষকে নির্বাচন করার আগে বাবা-মায়ের সঙ্গেও আলোচনা করে নিলে ভালো। মানুষকে ভালো করে জানার পর, তাঁর অতীত জানার পর, তাঁর পরিকল্পনা, কী কাজ করেন— সে সব জানার পর তবেই সম্পর্কের দিকে এগোন উচিত।