খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫ : প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর উদযাপন করছে নাট্য সংগঠন ‘নান্দীমুখ’। এ উপলক্ষে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীতে ‘নান্দীমুখ’ আয়োজন করেছে ৯ দিনব্যাপী ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১৫’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। উৎসবের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নান্দীমুখের দলীয় প্রধান অভিজিৎ সেনগুপ্ত। এই নাট্যোৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, নরওয়ে ও নেপালের মোট ৯টি নাট্যদল তাদের প্রশংসিত নাট্যপ্রযোজনাসমূহ মঞ্চায়ন করবে।
নান্দীমুখের দলপ্রধান অভিজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, “নান্দীমুখ তাদের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে। এরই মধ্যে ‘নান্দীমুখ দক্ষিণ এশিয়া নাট্যোৎসব’, ‘নান্দীমুখ নাট্যত্রয়ী’ ও ‘নান্দীমুখ রঙ্গমেলা’ শিরোনামের ৩টি নাট্যোৎসব এই বছরে সফলভাবে আয়োজন করেছে। বছরব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘নান্দীমুখ আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব ২০১৫’।”
উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় (২৭ নভেম্বর) ভারতের নাট্যদল ‘অসম রঙ্গ কথা’ পরিবেশন করবে তাদের প্রশংসিত প্রযোজনা ‘সূত্র’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নিরজ্ঞন ভূঁইয়া। নেপালের মান্দালা থিয়েটার পরিবেশন করবে তাদের প্রশংসিত প্রযোজনা ‘সারজমিন’। পুশকার শমসেরের ছোটগল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন প্রউন কাটিওয়াদা।
২৮ নভেম্বর ভারতের গোবরডাঙা নকসা পরিবেশন করবে নাটক ‘বিনোদিনী’। নাটকটি রচনা করেছেন মৌনাক সেনগুপ্ত ও নির্দেশনা দিয়েছেন আশীষ কুমার দাশ। ২৯ নভেম্বর নেপালের মান্দালা থিয়েটার পরিবেশন করবে ‘সারজমিন’। পুশকার শমসেরের ছোটগল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন প্রউন কাটিওয়াদা।
৩০ নভেম্বর ভারতের প্রাচ্য পরিবেশন করবে ‘টিপুর স্বপ’। মূল নাটক গিরিশ কার্নাড, রূপান্তর করেছেন রতন কুমার দাস ও নির্দেশনা দিয়েছেন বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ ডিসেম্বর ঢাকার নাট্যতীর্থ পরিবেশন করবে ‘কঙ্কাল’। নাটকটি রচনা করেছেন রবিউল আলম এবং নির্দেশনা দিয়েছেন তপন হাফিজ।
২ ডিসেম্বর আয়োজক সংগঠন নান্দীমুখ পরিবেশন করবে ‘তবুও মানুষ’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন অভিজিৎ সেনগুপ্ত। ৩ ডিসেম্বর ভারতের ‘আত্মপরিচয়’ পরিবেশন করবে ‘এলাদিদি’। নীলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ পুনর্বিন্যাস এবং নির্দেশনা দিয়েছেন শুভেন্দু ভাণ্ডারী।
৪ ডিসেম্বর ঢাকার নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করবে নাটক ‘নাম-গোত্রহীন মান্টোর মেয়েরা’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ঊষা গাঙ্গুলী। ৫ ডিসেম্বর নরওয়ের দ্য সামি ন্যাশনাল থিয়েটার পরিবেশন করবে ‘ইনান্না’।
একই দিন (৪ ডিসেম্বর) সম্মাননা প্রদান করা হবে ছয় গুণী নাট্যজনকে। তারা হলেন- ভারতের বিশিষ্ট নাট্য গবেষক ও নাট্যকার আশীষ গোস্বামী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকার ও সংগঠক রবিউল আলম, নাট্যকার-নিদের্শক ও সংগঠক মলয় ভৌমিক, নাট্যকার ও সংগঠক সাইফুল আলম চৌধুরী, সংগঠক সৈয়দ দুলাল, অভিনেতা ও সংগঠক আকবর রেজা।
এ ছাড়া প্রতিদিন অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।