খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৫: অফিসে যৌন হেনস্থার শিকারের খবর নতুন নয়। কেউ বিদ্রোহ করেন, সর্বসমক্ষে বস-এর বিকৃত রুচি প্রকাশ করে দেন। কেউ পরিস্থিতির চাপে, ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন। সেরকমই জনৈক সাংবাদিক ইশরাত পায়েলের একটি ফেসবুক স্টেটাসে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন নিয়ে এসে কী ভাবে বস-এর যৌন লালসার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত মিডিয়ার চাকরিই ছেড়ে দিতে হল তাঁকে, সব পর্দাফাঁস করে দিয়েছেন ইশরাত পায়েল।
সোমবার হয়ে গেল ‘ক্যাচ অনুপম রায় লাইভ ইন ঢাকা’ কনসার্ট। এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করার কথা ছিল জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ইশরাত পায়েলের। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে তাকে সে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পায়েল এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তিনি সেখানে লিখেন, ‘বর্তমান সময়ে মিডিয়া তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা নির্ভর করে তুমি কতটা বিছানা গরম করতে পারো আর মাঝ রাতে কতটা রোমান্টিক কথা বলতে পারো! (প্রমাণিত) বিগত ৮ বছরে হাতে গোনা ভালো কিছু কাজ করেছি সেটাই প্রাপ্তি! সরি ভাই স্টার হওয়ার জন্য আপনাদের গরম করার মত ইচ্ছা অথবা রুচি বোধ কোনটিই আমার নেই। আমি ভদ্র ঘরের সন্তান।’
এ ব্যাপারে পায়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে ইচ্ছে করেই বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্তর শোবিজ থেকে আমাকে অনুষ্ঠানের আগের দিন ২২ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ক্যাচ অনুপম রায় লাইভ ইন ঢাকা’ কনসার্টের উপস্থাপিকা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কৃষাণ আমাকে একটি টেক্সট দেন। সেটার রিপ্লাই করিনি। কেন না সেটার রিপ্লাই করার মতো কিছু ছিল না। সেদিনই মধ্যরাতে আমাকে ফোন দিয়ে আকারে ইঙ্গিতে অন্যকিছু বোঝাচ্ছিলেন। যেটার রেসপন্স করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি মিডিয়া কাজ করতে এসেছি, তারমানে এই না কারো সাথে রোমান্টিকতা করতে হবে কিংবা অন্যায় আবদার মেটাতে হবে
পায়েল বলেন, আমি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছি সে নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে হুট করেই আমাকে জানানো হয় যে আমি কনসার্টে উপস্থাপনা করছি না। আমি তখন মেকআপের জন্য বিউটি পার্লারে ছিলাম। এই ঘটনায় আমি খুব লজ্জা পেয়েছি, ছোট হয়েছি সবার কাছে। শিল্পীদের এভাবে অপমান করা অন্যায়।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের সাথে পায়েলের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।