খোলা বাজার২৪॥ রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৫ : এক পা, দুই পা করে কালো সমুদ্রের দিকে হেঁটে যাচ্ছে শিমু। আবার কখনো নীল সমুদ্রের দিকে। শীতের মেঘলা আকাশে চমৎকার আলো-আধারের দৃশ্য। ক্যামেরাটা সঙ্গে থাকলে ফ্রেমে বন্দি করে রাখা যেত। করেছেনও বেশ কিছু ছবি। কুয়াশায় ভেজা নীলকন্ঠ দেখেন তারা। আসমান থেকে নেমে আসে জল পরীরা। চোখে দিয়ে জল পড়ে। মনের নরম জল। জল পরীদের জলের সঙ্গে মিশে যায় সেই জল। পবিত্র হয় মন।
শিমু এভাবেই তার স্বামীর চোখে চোখ রেখে হাটেন পাশাপাশি। তাদের ভালবাসা দেখে নীলকন্ঠ মাথা নিচু রেখে চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে থাকে ল্যাম্পপোষ্টের নিচে। সাঁঝ সকালের আলো এসে গায়ে পড়ে শিমুর। সে আলোর দিকে চোখ দিকে তাকানো কষ্ট। তাই গায়ে পড়া আলো নিয়েই শিমু আঁকতে থাকে তার জীবনের গল্প। আচ্ছা একটা মেয়ের জীবনে কি গল্প থাকে বা থাকতে পারে। বড়ই রহস্যময় এ জীবন!
০২শিমু’র গল্প হলো তিনি একজন অভিনেত্রী। তার জীবনের নানা গল্পের মাঝে অভিনয় করে পার করেছেন দীর্ঘ সময়। পেয়েছেন জনপ্রিয়তা তার নিপুন অভিনয়ের মাধ্যমে। আর এ বছর নিজের জীবনের সঙ্গে আরেকটি জীবন বেঁধে ফেলেছেন তিনি। মানে তিনি বিয়ে করেছেন এ বছরের ২৮ আগষ্ট। স্বামী নজরুল ইসলাম। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। এটা নতুন কোন খবর নয়্ একজন সুন্দর তারকার বিয়ে নিয়ে আলোচনা হবেই। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় তাদের তবুও অভিনেত্রী শিমুর এতটাই জনপ্রিয়তা যে স্বামী কালো বলে সারাদেশে একটা হইচই পড়ে গিয়েছিল। সে হইচইয়ে কোন সারা না দিয়ে এখন তারা রয়েছেন মধুচন্দ্রিমায়। সেই ছবি গুলো দিয়েছেন ফেসবুকে তার ভক্তদের দেখার জন্য।
০৩এরপর তার আর কোন খবর নেই। হারিয়েছেন তার নতুন জীবনে। অভিনয় থেকে তিনি এখন বেশ দুরে আছেন। শুধু যে অভিনয় থেকে তা নয় বাংলাদেশ ছেড়ে এখন রয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। ফিরে এসে কি আবারো শুরু করবেন অভিনয় নাকি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তার নতুন জীবনের সংসার নিয়ে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে তাদের দেশে ফেরার পর। ততদিন পর্যন্ত শুধুই অপেক্ষাৃ! ততদিন তার ভক্তরা রবীন্দ্রনাথের লেখা “কালো ও সে যত কালো হোক, আমি যে দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ” পড়ে ফেলতে পারেন।