খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: মাদার তেরেসাকে চেনেন না। তিনি কী করেছেন তাও জানেন না। কিন্তু চেনেন পর্নস্টার টোরি ব্ল্যাককে। স্বেচ্ছায় পর্ন দুনিয়াকে বেছে নেওয়ার সাহস তাঁকে মুগ্ধ করেছে। আর তাই তেরেসাকে সরিয়ে টোরি ব্ল্যাককে নিজের আদর্শ করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত নন পরিচালক রামগোপাল ভার্মা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর আত্মজীবনী ‘গানস অ্যান্ড থাইজ’। সে প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি এ কথা বললেন পরিচালক।
বরাবরই স্পষ্টবক্তা তিনি। খোলাখুলি নিজের মনের কথা বলতে দ্বিধা করেন না। তিনি যে পর্ন ছবি দেখেন, তা নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি। বরং পরিচালকের গাম্ভীর্য সরিয়ে রেখে তিনিই প্রথম খুল্লমখুল্লা জানিয়েছিলেন সে কথা। সেরকমই আরও একবার বিস্ফোরক তিনি। এবার জানালেন, মাদার তেরেসা নন, বরং বিখ্যাত পর্নস্টার টোরিই তাঁর আদর্শ।
কেন তেরেসার মতো মহীয়সী নারীকে চেনেন না রামগোপাল? আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁর কাজকর্মের সম্যক ধারণা নেই তাঁর। কেননা তিনি তো সমাজসেবামূলক কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত নন। তাই তেরেসার কাজের গভীরতা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু সিনেজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে চেনেন টোরি ব্ল্যাককে। টোরির বেশ কয়েকটা সাক্ষাৎকার দেখেছেন তিনি। অভিভূত হয়েছেন তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তায়। সমস্ত সংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে টোরি যেভাবে পর্নকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, এবং তা সমক্ষে প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি-সেই মানসিক জোর মুগ্ধ করেছে রামগোপালকে। চরিত্রগত দৃঢ়তা, খোলাখুলি কথা বলার সৎসাহসে তাই টোরিকেই আদর্শ করেছেন ‘রামু’। আর তাই তাঁর জীবনে মাদার তেরেসার থেকেও টোরির এবদান বেশি- এ কথা বলতে তাঁর বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই।
আত্মজীবনীর পাতায় এরকম চমকদার উপাদানে নিজের জীবনকে তুলে এনেছেন এই বলিউডি পরিচালক। জানিয়েছেন তিনি বন্ধুহীন। ইন্ডাস্ট্রির একজন হয়েও তাঁর তেমন কোনও বন্ধু নেই। ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ের বাঁধন ছিঁড়েছে বহুদিন হল। এমনকী নিজের মেয়ের সঙ্গেও দেখা করেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। কারও সঙ্গে তেমন দেখাও করেন না। পার্টিতে যাওয়াও তেমন পছন্দ করেন না। নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী যেমন ছবি তৈরি করেন, মতামতও দেন তেমনই স্বীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই। নিজের প্রতি সেই বিশ্বাস থেকেই জীবনে টোরির অবদানকে স্বীকার করেছেন আত্মজীবনীর দু’মলাটের পৃথিবীতে।
বিখ্যাত পরিচালক রামগোপাল ভার্মার প্রখ্যাত ছবির তালিকায় রয়েছে – ‘সত্য’, ‘সরকার’, ‘কোম্পানি’, ‘নিঃশব্দ’, ‘ভুত’র মতো সিনেমা।