খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৫ : মাত্র আঠারো বছর বয়সেই ফ্যাশন-মডেলদের দুনিয়ায় চমক দেখাচ্ছেন কাইলি জেনার। অনেকের চোখে, বয়সের তুলনায় তিনি একটু বেশিই খোলামেলা। আবার অনেকের মতে, তার মধ্যে পাগলাটে ভাব বেশি। নতুন ফটোশুটে এমন প্রমাণই রাখলেন কাইলি। আবারো আলোচনা তুঙ্গে।
সম্প্রতি ইন্টারভিউ ম্যাগাজিনের ফটোশুটে ক্যামেরার সামনে আসেন কাইলি। বরাবরের মতোই দারুণ আবেদনময়ী তিনি। তাকে দেখাচ্ছিল এক অপরূপ পুতুলের মতো। কিন্তু একটি হুইলচেয়ারে বসে পোজ দিয়েছেন মডেল।
বিকলাঙ্গদের চলাফেরায় যে চেয়ার ব্যবহার করা হয় তাতে কাইলির এমন ফটোশুট কেউ ভালো চোখে দেখেননি। তার পরনে ছিল ‘ফেতিশ গিয়ার’। তার চুলের ডিজাইন ও মেকআপ করা হয় সেক্স ডলের মতো। এমন একটা ছবি সত্যিকার অর্থেই বিরক্তিকর বলে মত দিয়েছেন সবাই।
সান ফ্রান্সিসকোর পল কে লংমোর ইন্সটিটিউট অন ডিসঅ্যাবিলিটির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর এমিলি স্মিথ বেটিকস বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে এমন কেউ-ই একে সুনজরে নেবে না। বিকলাঙ্গদের চেয়ারে একটা সেক্স ডল সেজে বসে রয়েছেন কাইলি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দৃষ্টিকটু। এমনিতেই দৈহিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতাহীন বা সামর্থ্যহীন বলে মনে করা হয়। এমন ফটোশুট বিষয়টাকে আরো স্পষ্ট করে তুললো।
যে চেয়ারটি দেখলেই বিকলাঙ্গদের কথা মনে হয়, সেখানে যৌন আবেদনে ভরা পোশাক পরে সেক্স ডল সেজে পোজ দিয়ে মূলত বিকলাঙ্গদের অপমান করা হয়েছে। এই চেয়ারটিকে এ ধরনের উপাদানের সঙ্গে কোনভাবেই যোগ করা যায় না।
এদিকে, কাইলির ভক্তরাও প্রিয় তারকাকে ছাড় দিলেন না। তারা টুইটার নিয়মিতভাবে এ ফটোশুটের সমালোচনা করে চলেছেন। তাদের অধিকাংশই মনে করেন, ফ্যাশন প্রদর্শনের জন্যে হুইলচেয়ার কোনো আইটেম হতে পারে না।
অবশ্য একজন মডেল কেবলমাত্র ফটোগ্রাফারের নির্দেশ অনুযায়ী পোজ দেন। কিন্তু তার মতো তারকাদের মাথায় ভক্ত ও মানুষের মনের বিষয়টা বুঝতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যাতে তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অথবা বিষয়টা কষ্ট দেয়।