Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

47খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: হিন্দি ছবি নয়, নিজের মিউজিক ভিডিও নয় , সাত সাগরের ওপারের এক টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের কারণে এই মুহূর্তে নিজের দেশেই আলোচনার কেন্দ্রে তিনি।

এই খবর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানেন কি না, সে প্রশ্ন কেউ তাঁকে করেননি। বা করলেও জানা যায়নি। কিন্ত্ত নিজের দেশে যত না তাঁর অভিনয় কিংবা ‘কোয়ান্টিকো ‘র রহস্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি আলোচনা প্রথম পর্বের এক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তাঁর অভিনয় এবং পরের অন্য একটি পর্বের স্নানদৃশ্য।

ইন্টারনেটে রীতিমতো ভাইরাল সে সব দৃশ্য এবং প্রিয়াঙ্কার ভক্তদের মধ্যে আলোচনার বিষয়। কিন্ত্ত এর বাইরেও আমেরিকার টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টের পরিসংখ্যান থেকে প্রিয়াঙ্কা অভিনীত ‘কোয়ান্টিকো ‘ সম্পর্কে পাওয়া যাচ্ছে, নানা আকর্ষণীয় তথ্য।

প্রসঙ্গত এই সিরিজের দশটি এপিসোড টেলিভিশনে এয়ার হয়েছে এখনও পর্যন্ত। প্রথম দিকে টিআরপি বাড়াতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল এই সিরিজটিকে। যদিও পিগি চপস -কে নিয়ে আমেরিকাতেও সমালোচকরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা প্রিয়াঙ্কা পেয়ে গিয়েছিলেন প্রথম থেকেই।

কিন্ত্ত সেভাবে টিআরপি বাড়ছিল না এটির। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, রবিবার রাতে এর দর্শক সংখ্যা তেমন না থাকলেও, পরে যখন রিপিট টেলিকাস্ট হচ্ছে এটি, দর্শক সংখ্যা বেশ বেশি। লাইভ টেলিকাস্টের সময় দর্শক সংখ্যা এত কম কেন?

টেলিভিশনের পরিসংখ্যানবিদরা জানাচ্ছেন, রবিবার যে সময়ে ‘কোয়ান্টিকো ‘র টেলিকাস্ট হয় সিটিভি-তে , সেই সময়, অর্থাৎ রাত ১০টার সময় আমেরিকার টেলিভিশনের সবচেয়ে বড় সিরিজ চলে অন্য একটি চ্যানেলে। এনবিসি -র ‘সানডে নাইট ফুটবল’। আর তার মোকাবিলা করতে গিয়েই লাইভ দর্শক টানতে কিছুটা হলেও ব্যর্থ হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ‘কোয়ান্টিকো’।

আর সেই কারণেই রিটেলিকাস্টের সময় অনেক বেশি দর্শক টানতে পারছে সিরিজটি। প্রিয়াঙ্কার উষ্ণ দৃশ্য সিরিজে একটা ফ্যাক্ট বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে যেভাবে ‘কোয়ান্টিকো’ শুরু করেছিল, সেই তুলনায় অনেক বেশি দর্শককে এখন টেলিভিশনমুখী করে তুলেছে সিরিজটি। ইতিমধ্যে ১১৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছে দর্শক সংখ্যা।

তার একটা কারণ গল্পের ধাঁচের বদল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম দিকে যেভাবে গল্প চলত , অষ্টম এপিসোডের পর থেকে তার গতি অনেক বেড়েছে , এবং রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। আর তাই পুরনো এপিসোডগুলো অনলাইনে দেখার প্রবণতাও এখন বাড়ছে। এত কিছুর পরেও অবশ্য ‘কোয়ান্টিকো ‘ প্রথম থেকে এই মরশুমে আমেরিকার প্রথম চার টেলিভিশন সিরিজের মধ্যে ছিল।

কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেও সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছে ‘কোয়ান্টিকো ‘। ভারতে এর টেলিকাস্ট কবে হবে, তার অপেক্ষায় প্রিয়াঙ্কার ভক্তরা।