খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমি আজ বুধবার বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। সকাল সাড়ে ৮টায় একাডেমির পক্ষ থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে একাডেমির নজরুল মঞ্চে ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলা একাডেমি শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি পিয়াস মজিদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-এর ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিশাত জাহান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বিজয় দিবসে আমরা যেমন নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা লাভের আনন্দের প্রতিধ্বনি শুনি, তেমনি অসংখ্য মানুষের ক্রন্দন ও শোকেরও প্রতিধ্বনি শুনি। যে মূল্যে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা সামান্য নয় এবং তা চিরকাল গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে। ১৯৫২ থেকে যেমন আমাদের রাজনৈতিক চেতনা অগ্রসর হয়েছে তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক বোধ সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
স্বাগত ভাষণে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বাঙালির আড়াই হাজার বছর ইতিহাসে একাত্তর সালে পাকিস্তানের হাত থেকে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভের মতো বড় অর্জন আর নেই। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা যে স্বাধীন, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পেয়েছি তার পেছনে বাংলা একাডেমি এবং বাংলার কবি-লেখক ও বুদ্ধিজীবীদেরও রয়েছে অসামান্য ভূমিকা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ এবং ঝর্ণা সরকার। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী আবদুল হালিম খান, মাহমুদুজ্জামান বাবু, সন্দীপন দাস এবং তানজিনা করিম।