খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫: শখ ছিল মহাকাশচারী হওয়ার, কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বলিউডে চলে গেলেন। শেষ পর্যন্ত মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে এখন বলিউডের পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহা।
অভিনেতা শত্রুঘœ সিনহার মেয়ে সোনাক্ষি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছোট থেকেই চাইতেন মহাকাশচারী হবেন। কিন্তু পড়াশোনার ক্ষেত্রে অঙ্কে কাঁচা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাননি তিনি। এ কারণে এক সময় মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে টেনিস খেলা এবং সাঁতারে মন দেন সোনাক্ষি। ভেবেছিলেন, মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন ভুলবেন সাঁতারু হয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্নও অধরা থেকে যায়।
এরপর সোনাক্ষি কাজ শুরু করেন একজন কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে। এটিকেই পেশা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। পেশাগত কারণে তিনি একদিন অংশ নেন একটি শোতে। সেখানেই নজরে পড়ে যান বলিউড অভিনেতা আরবাজ খানের। তারপরই বলিউডের দরজা খুলে যায় তাঁর জন্য।
পাঁচ বছর ধরে একের পর এক ছবি করে বলিউডে আজ নিজের জায়গাটা প্রায় পাকা করে ফেলেছেন সোনাক্ষি। ২০১০ সালে সলমান খানের বিপরীতে ‘দাবাং’ ছবিতে অভিনয় করে দর্শক মহলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেন। তারপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গেছেন এই দাবাং সুন্দরী।
বলিউডের অভিনেতা, রাজনীতিবিদ শত্রুঘœ সিনহা ও পুনম সিনহার ছোট মেয়ে সোনাক্ষি। যমজ দুই ভাই লব সিনহা ও কুশ সিনহার মধ্যে একমাত্র বোন তিনি। মুম্বাইয়ের আর্য বিদ্যা মন্দির থেকে মাধ্যমিক পাস করার পর মহারাষ্ট্রের এসএনডিটি ওমেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সোনাক্ষি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের মধ্যে একমাত্র বেমানান আমি।’ কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমাদের পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যের নামই নেওয়া হয়েছে রামায়ণের চরিত্র থেকে। আমার বাবার চার ভাই। রাম, লক্ষ্মণ, ভরত ও শত্রুঘœ। আমার দুই ভাইয়ের নাম লব ও কুশ। শুধু আমি ও আমার মা পুনম রামায়ণের চরিত্রের নামে নই।’
বলিউডে পা রাখার পর নিজস্ব একটা ঘরানা ধরে রেখেছেন সোনাক্ষি। বলিউডের ইঁদুর দৌড়ে সিনেমা হিট করাতে কিংবা দর্শকদের বিনোদন দিতে বহু নায়িকাই বেশ সাহসী হয়ে উঠছেন ইদানীং। পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য কিংবা বেড সিনে স্বাচ্ছন্দ্য দেখাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু শরীর দেখানোর ওই লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত নাম লেখাতে রাজি নন সোনাক্ষি। তিনি বলেন, ‘আপাতত বোল্ড সিনে অভিনয় করতে চাই না। আমি সেই সিনেমায় অভিনয় করতে চাই যে সিনেমা আমি আমার পরিবারের সঙ্গে বসে দেখতে পারব। আপাতত এমন কোনো ছবিতে অভিনয় করতে চাই না যা আমি পরিবারের সঙ্গে বসে দেখতে লজ্জা পাব।’
নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতন সোনাক্ষি। ফিল্মিপাড়ায় সোনাক্ষির বাড়তি ওজন নিয়ে নানা কথা চালু আছে। অনেকে মোটা বলেও তাঁকে কটাক্ষ করেন। তবে শরীরী ফিটনেসকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা যে তিনি চালাচ্ছেন তা নিজের মুখেই প্রকাশ করে দিলেন। জানিয়েছেন, বাঁকানো পিঠ নিয়ে খুব শিগগিরই আসছেন তিনি।