খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার,২২ ডিসেম্বর ২০১৫: সিনেমা হিটের নেপথ্যে প্রায় নায়ক, নায়িকার মতোই সমান ভূমিকা নেয় গান। এমনকী কখনও সিনেমা তেমন সাফল্য না পেলেও গান হিট করে। কম বাজেটের কোনও ছবি হয়ত তেমন প্রচারের আলো পায় না, কিন্তু গান ঠিক খুঁজে নেয় জনপ্রিয়তা। ২০১৫ চলে যেতে আর মাত্র কটাদিন। এই অবসরে একবার পিছু ফিরে দেখে নেওয়া যাক এ বছরটা মাতিয়ে রাখা সেরা ১০টি হিন্দি ছবির গান।
১. ‘বননো তেরি সহেগর লাগে সেক্সি’- এব বছরের অন্যতম সেরা হিট ছবি ‘তানু ওয়েডস মানু রিটার্নস’-এর এই গানে মাত করে দিয়েছিল। আনন্দ এল রাই পরিচালিত এ ছবিতে ঈর্ষণীয় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। দ্বৈতভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পর্দায় ‘বননো’ চরিত্রের মুখে ছিল এ গান। গেয়েছিলেন ব্রিজেশ শান্ডালা ও স্বাতী শর্মা। এ বছরের হিট গানগুবলির তালিকায় গোড়াতেই থাকল এই গানটি।
২. ছবির নাম ‘দম লাগাকে হাইস্যা’। গান-ইয়ে মোহ মোহ। পাওয়া গেল ভিনটেজ অনু মালিককে। যেন ব্যস্ত সময়ের গতি থমকে দেওয়া একটি গান। শান্ত, শুদিং। পার্টি সং না হয়েও যে অসাধারণ পরিবেশ এ গানের সুর তৈরি করে দেয়, তার মোহেই শ্রোতারা পছন্দ করেছেন এ গানকে। গেয়েছিলেন মোনালি ঠাকুর ও পাপন। গানের কথা লিখেছিলেন বরুণ গ্রোভার। রোম্যান্টিক এ গান এবছরে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে। এ ছবিতে পাওয়া গিয়েছিল, কুমার শানু ও সাধনা সরগম জুটির ‘র্“ কারারা’ গানটিও। পুরনো জুটি, পুরনো আমলের সুরের ছাপে ও গানও ঢেউ তুলেছিল জনপ্রিয়তায়।
৩. জিৎ গাঙ্গুলির সুরে হামারি অধুরী কাহানির টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং। রেশমী বিরাগের কথায় এ গানও অরিজিতের সিগনেচার সং। জনপ্রিয়তার নিরিখে এ গান এবছরের অন্যতম সেরা।
৪. ‘অ্যায় হামনাভা মুঝে আপনা বানা লে’- প্রেমিক হৃদয়ের আর্তি এ গানে যেভাবে উঠে এসেছে, তাতে সেরা গানের তালিকায় এ গানটিকে গোড়ার দিকে রাখাই যায়। গেয়েছেন পাপন ও মিঠুন। ছবির নাম-হামারি অধুরী কাহানি। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান ও ইমরান হাসমি। অসাধারণ চিত্রায়নও হয়েছিল এ গানের। ছবিটি তেমন সাফল্য না পেলেও শ্রোতাদের মনে এ বছর এ গানের রেশও কিন্তু থেকেই গিয়েছে।
৪. ‘হালে দিলকো তু চাহিয়ে’..ব্লকবাস্টার ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিতে এ গান গেয়েছেন আতিফ আসলাম। ছবিও যেমন হিট, এ গানও তেমনি। এ বছরের তুমুল জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
৫. চিতিইয়া কালাইয়াঁ – গায়িকা কণিকা কাপুর। ‘পেপি সং’ জঁরের এ বছরের সেরা গান বোধহয় এটিই। ‘রয়’ ছবিতে এ গানটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ছবি সাফল্য না পেলেও, এ গান কিন্তু নজিরবিহীন সাফল্য হয়েছে। গোট বছর তো বটেই, এমনকী বছরশেষের পার্টিতেও এ গান প্রায় নির্বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ গানের দৌলতে এ বছর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জ্যাকুলিন ফার্ণান্ডেজও। গানের কথা লিখেছেন কুমার। সে কথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম জোক তৈরি হয়নি!
৬. ছবির নাম- বদলাপুর। গান- জি করদা। গেয়েছেন, দিব্যা কুমার। শচীন-জিগারের কম্পোজিশনে একটু অন্যরকমের এ গানও এবার সেরার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বলিপাড়ায় যে এবার নানা ঘরানার গান তৈরি হয়েছে, তার অন্যতম উদাহরণ এ গানটি।
৭. ‘আফগান জলেবিৃভাই বাহ’ৃপ্রীতমের সুর আরও একবার ধুম মাচিয়েছিল বলিপাড়ায়। ‘ফ্যান্টম’ ছবিতে এ গান গেয়েছেন সৈয়দ আসরার শাহ। গানের দৃশ্যায়নে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। সহজ তালে, মনকাড়া কথায় এবং সুরের জাদুতে এ গানও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
৮. ‘তেরি মেরি কাহানি-হ্যায় বারিসও কি পানি’ৃগেয়েছেন অরিজিৎ সিং ও পলক মুচাল। ‘গব্বর ইজ ব্যাক’ ছবির এ গান তৈরি করেছেন চিরন্তন ভট। অরিজিৎ সিংয়ের অনবদ্য গায়কির গুণে এ গানও এ বছর দারুণ জনপ্রিয়।
৯. ‘নজর জো তেরি লাগি.. ম্যায় দিওয়ানি হো গ্যায়ি’..সুফি অঙ্গের এ গান আছে ‘বাজিরাও মস্তানি’ ছবিতে। গানটি তৈরি করেছেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী স্বয়ং। শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে এ গান গেয়েছেন বেশ কয়েকজন সুফি শিল্পী। এ বছরের মনভালো করা গানের মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে সেরা। ছবির ‘পিঙ্গা’ গানটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
১০. রং দে তু মোহে গেরুয়া- বছর শেষের এই সময়টায় প্রায় সকলের মুখে ফিরছে এ গান। ছবি ইতিমধ্যেই সুপারহিট হওয়ার পথে। গানটি কয়েকদিন আগে থেকেই সুপারহিট। প্রিতমের সুরে এ গান গেয়েছেন অরিজৎ সিং ও অন্তরা মিত্র। সন্দেহ নেই, এ বছরের অন্যতম সেরা গান এটিও।