খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫: আগামী সিনেমা ‘সরাবজিৎ’-এর শ্যুটিংয়ে এসেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। বিনা মেকাপে রাই-সুন্দরীকে প্রথমে ঠিক চিনতে পারেনি জনতা। কিন্তু পরে তাঁরা পরিচয় জানতে পারেন। তখন তাঁদের উৎসাহ কী আর বাঁধ মানে! জনতার ভিড়ে কার্যত বন্দী হয়ে পড়লেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
ভ্যানিটি ভ্যানে উঠতে পাঁচ মিনিটের পথ তাঁকে পেরোতে হল আধ ঘণ্টায়। তারমধ্যে অনুরাগীদের অটোগ্রাফের আবদার মেটাতে হল তাঁকে। খ্যাতির বিড়ম্বনা কেমন, তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে হল অভিষেক বচ্চন-ঘরণীকে। মুম্বাই থেকে মাত্র তিন ঘন্টার দূরত্বে একটি জায়গায় ওমাঙ্গ কুমার পরিচালিত ‘সরাবজিৎ’ সিনেমার শ্যুটিংয়ে ঐশ্বরিয়াকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে এক লহমায় প্রায় ৪০০ লোক জড়ো হয়েছিলেন।
চলতি বছরের অক্টোবরে সঞ্জয় গুপ্তার ‘জযবা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে দর্শনীয় কামব্যাক করেছেন আরাধ্যা-জননী। সিনেমাটি খুব একটা সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হলেও ৪১ বছরের ঐশ্বর্যার স্টারডম যে এতটুকু ক্ষুণœ হয়নি, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। সরাবজিৎ একটি বায়োপিক।
গুপ্তচপ সন্দেহে পাকিস্তানে দীর্ঘদিন জেলে বন্দী ছিলেন ভারতীয় সরাবজিৎ। তাঁকে মুক্ত করার নানারকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানে জেলে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এই সিনেমায় সরাবজিতের দিদি দলবীর কউরের ভূমিকায় দেখা যাবে ঐশ্বরিয়াকে।
ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে এই মাতামাতিতে আদৌ বিস্মিত নন সিনেমার প্রযোজক সন্দীপ সিংহ। তিনি বলেছেন,ঐশ্বরিয়ার স্টারডম সূর্যের আলোর উষ্ণতার মতো। সবাই এই উষ্ণতা পেতে চায়। সিনেমার চরিত্রেও একই ধরনের উষ্ণতা এনে দিয়েছেন তিনি। মুম্বাইয়ে সম্প্রতি একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া জানিয়েছিলেন যে, ‘সরাবজিৎ’-এ তাঁর লুক নিয়ে যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তিনি খুশি।