খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: পর্নো সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণাগুলো ভাঙার জন্য পর্নো ছবির পরিচালক সিমোর বাটস একটি নিবন্ধ লিখেছেন। যেখানে তিনি পর্নগ্রাফি সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারণাকে তুলে ধরেছেন। মূলত এসব বিষয় গোপন করা হয়, যা ক্যামেরায় আসে না।
নিবন্ধে সিমোর বলছেন, ‘সাধারণ দর্শকদের কাছে পর্নো ছবির অভিনেতারা সুপার হিরো হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। আমি এ বিষয়টি জানি কারণ আমি যখন অন্য সব সাধারণ দর্শকদের মতো পর্নো দেখতাম তখন আমার মধ্যেও এ চিন্তাটি কাজ করত।’
‘আমার এখনও মনে আছে ঠিক কোন চিন্তাগুলো আমার মাথায় ঘুরত। ওহ, তার পুরুষাঙ্গ কত বড়! তার দেহ কতটা সুঠাম! এই নারী এখনও অতৃপ্ত! এমন সব বিষয়ই আমার মাথায় ঘুরপাক খেত।’ -বলেন সিমোর।
‘এ বিষয়গুলো ভালো। পরিচালক হিসেবে আমি যখন কোনো দৃশ্য ধারণ করি তখন আমার মধ্যেও এ চিন্তাটি থাকে যাতে দর্শক এগুলোই চিন্তা করেন যখন তিনি দৃশ্যটি পর্দায় দেখবেন। আমি সেভাবেই পরিকল্পনা, ধারণ, নির্দেশ এবং এডিট করে থাকি আমার দর্শকদের মধ্যে এরকম চিন্তা দেয়ার জন্য।’
‘কিন্তু এতে সমস্যাটা তখনই শুরু হয় যখন তারা ভুলে যায় যে এটা আসলে বাস্তব নয় এবং এর পিছনের কারণ বুঝতে পারেন না। তারা নিজেদের অসহায় মনে করতে শুরু করেন এবং তাদের যৌন ক্ষমতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সন্দেহের উদ্বেগ হয়। তখন তারা এমনটি চিন্তা করতে শুরু করে যে, আমার লিঙ্গ যদি এতো বড় হতো! আমার প্রেমিকা যদি এরকমটা করত! আমি যদি এভাবে এবং এতোটা সময় ধরে উত্তেজিত থাকতে পারতাম!’
হবংিথঢ়রপঃঁৎবথ২৮৮৮৭থঢ়ড়ৎহড়-৩-৪‘বাস্তবে যা ঘটে তার সঠিক কোনো প্রতিফলন টিভি কিংবা কম্পিউটারে দেখা স্ক্রিনে ঘটে না। এই দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে যা ঘটে তার খুব কমটাই দেখতে পান আপনি। তাহলে জানুন এরকম কিছু তথ্য।’
বড় পুরুষাঙ্গ
‘পর্নো ছবির বেশিরভাগ অভিনেতারই পুরুষাঙ্গ অনেক বড়। আপনি হয়তো তাদের পুরুষাঙ্গের আকার দেখে মুগ্ধ হতে পারেন কিন্তু আপনি কী জানেন, এত বড় পুরুষাঙ্গ দেখে কারা উত্তেজিত হয় না? পর্নো ছবির অভিনেত্রীরা।’
খুব অল্প পরিমান অভিনেত্রীই এত বড় লিঙ্গকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন। পর্নো ছবির দৃশ্য ধারণকালে এ বিষয়টির মুখোমুখি হতে হয় আমাকে। এর ফলে অভিনেত্রীর চেহারায় উঠে আসে কষ্টের বিষয়টি এবং এটা তাকে গভীরে যেতে বাধা দান করে।
এডিটের সময় এ বিষয়গুলোকে বাদ দেই আমি। কারণ এগুলো মনোযোগের বিক্ষেপ ঘটায়। এটা আপনাকে আনন্দ দান থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে এটা ভাবাতে শুরু করবে যে, এরা সবাই অভিনেতা এবং তারা একটি কাজ করছেন।’
হবংিথঢ়রপঃঁৎবথ২৮৮৮৬থঢ়ড়ৎহড়-৩যৌন ক্ষমতা
‘সাধারণত পর্নো ছবির ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই অভিনেতা ২০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত তার উত্তেজনাকে ধরে রাখছেন। কিন্তু ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণের পূর্বে যা হয়, তা কেউ দেখতে পান না। এর আগে সাধারণত ঘটে পিল খাওয়া কিংবা পুরুষাঙ্গকে উত্তেজিত রাখার জন্য ইনজেকশন দেওয়ার মতো ঘটনা। আমার অভিজ্ঞতা আমাকে বলে যে শতকরা ৯৫ শতাংশ পুরুষ পর্নো ছবির অভিনয়ের পূর্বে এমনটা করে থাকেন।
আপনি শুধু নিঁখুত জিনিসটাই দেখতে পান কিন্তু এর পিছনের কাহিনীগুলো সবসময় আপনার অজানাই থেকে যায়।’
অ্যানাল সেক্স
পর্নো ছবিতে অভিনেতারা সব কিছু নিজেদের ইচ্ছায় করছেন এমনটাই দেখানো হয় কিন্তু তাই বলে তো আর সত্যটা মিথ্যে হয়ে যায় না। যখন এ বিষয়টা অ্যানাল সেক্সের প্রশ্ন তখন বাস্তবতাটা একটু বেশিই কঠিন। অ্যানাল সেক্সের ভিডিও ধারণের পূর্বে নারী অভিনেতাদের অনেক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। ইনজেকশন নেওয়া থেকে শুরু করে খাবার গ্রহণ বন্ধ রাখা পর্যন্ত। সাধারণত দৃশ্য ধারণের ৪ থেকে ১২ ঘণ্ট আগে থেকে তাদের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। পরবর্তীতে যখন পর্দায় অ্যানাল সেক্স দেখবেন তখন মনে রাখবেন তিনি অনাহারী এবং তার ক্ষুধার কারণে পেটের মধ্যে এতো জোরে আওয়াজ হয়, যা সেখানে থাকা অন্যরাও শুনতে পান।
নারীর বীর্যপাত
নারীর বীর্যপাত সম্ভব কি-না সে বিষয়টি নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। তবে যখন এ বিষয়টি পর্নো ছবিতে আসে তখন আপনি যা দেখেন তা পুরোপুরি ঠিক নয়। পর্নো ছবিতে নারীর বীর্যপাত দেখানোর প্রত্যেকটি দৃশ্যে হয়তো ওই নারী প্রস্রাব করেন কিংবা দৃশ্য ধারণে বিরতি দিয়ে তুর্কি বাস্টারের সহায়তায় তার যৌনাঙ্গে পানি প্রবেশ করানো হয়।
কনডমের ব্যবহার
পর্নো ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যেই দেখা যায় কনডম ছাড়াই যৌন মিলন করছেন অভিনেতারা। প্রতি ১৪ থেকে ৩০ দিন পরপরই তাদের যৌনরোগের পরীক্ষা করানো হলেও তাদের কনডম ব্যবহার না করার কারণে তাদের বেশিরভাগই যৌনরোগে আক্রান্ত হন। অনেকে ঔষধ গ্রহণ ও যৌন চিকিৎসার বিষয়টিকে নিয়মিত করে নিয়েছেন। সুতরাং কনডমবিহীন যৌন মিলনে লিপ্ত হলে প্রত্যেকেই এই অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে হয়।