খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৬: পর্দায় প্রথম ধাপে চমক দিয়েই আবির্ভাব। প্রথমেই গ্রামীণফোনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের বড় পরিসরের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের সুযোগ। ক্রিকেটে যেমন হাফ ভলি বল পেলে ব্যাটসম্যানরা বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন না। ঠিক তেমনটাই করেছেন অবনী। মুঞ্জারিন মাহবুব অবনী এখন সারা দেশের পরিচিত মুখ। আর পরিচিত মুখ না হয়ে উপায় কি? টেলিভিশন খুললেই অবনী, রাস্তায় হাঁটলেই অবনী, দেশের অভ্যন্তরে কোথাও যাবেন অবনী, দেশের বাইরে যাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে অবনীর মুখটা দেখে যেতে হবে। কিভাবে? গ্রামীণফোনের ১ পয়সা প্রতিসেকেন্ডের বিজ্ঞাপনের কল্যাণে অবনী এখন সারা দেশের পরিচিত মুখ।
রাস্তায় হাঁটলেই গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড, শাহজালাল বিমানবন্দরের আশপাশে গ্রামীণফোনের বিলবোর্ড, হাইওয়ের ধারে ধারে বিলবোর্ড, হিলি ও বেনাপোলে সুবিশাল গ্রামীণফোনের বিলবোর্ড। আর এইসব বিলবোর্ডে ছলকে ওঠা মুখটাই অবনীর। ইতিমধ্যে এই বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য অবনী পেয়েছেন ‘সাঁকো টেলিফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’। এসব ছাপিয়ে অবনী জানালেন নতুন খবর। ১৯৮৬ সাল থেকে কোরিয়াতে শুরু হওয়া ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি ২০১৬’ প্রতিযোগিতায় এ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছেন আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী মুঞ্জারিন মাহবুব অবনী। ২০১৪ সালে র্যাম্পে হাঁটা দিয়ে যাত্রা শুরু অবনীর ক্যারিয়ারের পালকে দ্রুত রং বদলাচ্ছে।
আর যদি আগামী ১২ জানুয়ারিতে চীনের বেইজিং এ অনুষ্ঠিতব্য সারাবিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরীদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতা থেকে ক্রাউন ছিনিয়ে আনেন তাহলে তো বিশেষণ দিয়ে বাক্যই শেষ করা যাবে না। ‘আমার মনের অনেক গভীরের একটা বিষয় হলো নাচ। আমি নাচতেই পছন্দ করি। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। তবে এবারে বড় একটা কম্পিটিশনে অংশ নিচ্ছি ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি’ -এক নিঃশ্বাসে কালের কণ্ঠকে এমনটাই জানালেন অবনী। অবনী বলেন, এর আগে উপমহাদেশ থেকে শুধু নেপালের আয়ুশা শ্রেষ্ঠা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশ থেকে আমি প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি আমার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করবো।