খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬: সুন্দর অভিনয়ের পাশাপাশি হৃদয় হরণ করা সৌন্দর্য-এই দুইয়ের মিশেল যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা তো কেবল পুরুষ-হৃদয়ই উপলব্ধি করতে পারে! সম্প্রতি ‘গ্লিটজি ওয়ার্ল্ড’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সেরা পাঁচ হলিউড অভিনেত্রীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন। সময়, বয়স, সৌন্দর্য-সব কিছু মিলিয়ে লম্বা সময় ধরে হলিউড ধরে রেখেছেন তাঁরা নিজেদের হাতের মুঠোয়; আর এ কর্তৃত্ব শেষ হচ্ছে না সহসাই।
জেনিফার লরেন্স : বয়স সবেমাত্র ২৫। কিন্তু এই বয়সে এসে তিনি কী না করলেন! একজন সফল অভিনেত্রীর জীবনে যা কিছু দরকার, তার সবকিছুই পেয়েছেন যেন দুই হাত ভরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি অভিনেত্রীর ২০১৫ সালটা ছিল যেন সোনায় মোড়ানো। ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ এবং ‘জয়’ ছবি দিয়ে নিজেকে সারা বছরই রেখেছিলেন আলোচনায়। আর নিজের পেশাদারিত্ব এবং বাছাইক্ষমতার সঙ্গে ব্যক্তিত্বকে করেছেন আগের চেয়ে অনেক বেশি শাণিত। সে সঙ্গে নিজের সৌন্দর্য তো রয়েছেই।
সান্ড্রা বুলক : নিজের প্রথম ছবি ‘শেভড হেড’- এর মাধ্যমে প্রথমেই পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর একে একে ভালো ছবি উপহার দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আর বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন নিজের সৌন্দর্যের জ্বরে। এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘আওয়ার ব্র্যান্ড ইজ ক্রহিসির্স’ ছবিটিও দারুণ ব্যবসাসফল। ইনসাইড-আউট চলচ্চিত্রেও পর্দার পেছনে তাঁর দারুণ কণ্ঠস্বরে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দর্শককে।
কেট ব্ল্যানচেট : বয়স নাকি ব্যস্ততার গতিপথকে স্থির করে দেয়। তবে হলিউড অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ঠিক তেমন নয়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই যেন অভিনেত্রীরা নিজেদের আরো নতুন করে আবিষ্কার করতে পারেন। যেমন ধরুন কেট ব্ল্যানচেটের কথা। মেরি মেপসের বিখ্যাত বই অবলম্বনে ‘ট্রথ’ চলচ্চিত্রটিতে কী অসাধারণ অভিনয়ের নৈপুণ্য দেখালেন তিনি। একজন বলিষ্ঠ সংবাদকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি কিন্তু অস্কার জয়ের দাবি করতেই পারেন।
ডাকোটা জনসন : হলিউডে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পেশাদারিত্ব আর দক্ষ অভিনয়ের জন্য সবার নজর কাড়েন ডাকোটা জনসন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মডেল হিসেবে পরিচিত হলেও ‘কেজি ইন আলবার্মা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মাত্র ১০ বছর বয়সেই পর্দায় অভিষেক ঘটে। এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ ছবিতে পর্দায় ঝড় তোলা উত্তাপই কেবল তোলেননি, অভিনয়ের জন্যও পেয়েছেন প্রশংসা।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি : এখনো হলিউডের সেরা আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। অন্য যে কোনো অভিনেত্রীর চেয়ে জোলির সৌন্দর্য ও সাবলীল উপস্থাপন এবং অভিনয়দক্ষতা দর্শককে একটু বেশি রোমন্থিত করে। শারীরিক নানা রকম ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর পরও তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এ বছরই মুক্তি পাওয়া ‘বাই দ্য সি’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে তিনি আরো একবার প্রমাণ করলেন, জোলি এবং সাফল্য দুটি সমার্থক শব্দ। শুধু তাই নয়, পরিচালকের আসনে বসেও বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর গুণের বহর কতটা লম্বা!