Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

10খোলা বাজার২৪বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি গত ৩১ জানুয়ারি তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুননেসাকে তালাক দিয়েছেন। এদিন তিনি কামরুন্নেসার যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকানায় বিচ্ছেদপত্রও পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার রুমির আইনজীবী আবদুর রহিম কামরুন্নেসার বাবাকে ফোন করে বিচ্ছেদপত্র পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তালাকের কারণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ দোষ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পীকে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন রুমি।
বুধবার (আজ) দুপুরে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এ তারকা। সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিচ্ছেদের কারণগুলো বলেছেন। পাশাপাশি ভক্তদের বিভিন্ন মন্তব্যের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুকের অফিশিয়াল পেজে প্রকাশ করা এ ভিডিওতে রুমি বলেন, ‘তালাক দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, সে (কামরুন্নেসা) আম্মুকে গালাগালি করত। সে আমার বাধ্যগত ছিল না।’
প্রথমে এতটুকু বললেও পরে বিস্তারিত বলেন রুমি। তার ভাষ্য, ‘জানি, সবার বাসায় অনেক কিছুই হয়। আমার কিছু বলার ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, নিজে বাঁচলে তবেই তো নিঃশ্বাস নেব। আসুন কথা বলি আমরা ক্যারিয়ার নিয়ে। কারণ এর জন্যই সবকিছু।’
কাজে কামরুন্নেসা বাধা দিত- এমন অভিযোগ রুমির। বলেন, ‘কাজ যদি না করতাম, সবাই বলত- বেকার। কাজ করছি। কাজেও সে বাধা হয়। তালাকের এটাও একটা কারণ। একজন গায়ক যদি লাইট হয়। আর সে লাইটকেই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো হলো না। সে স্টুডিওতে পর্যন্ত কাজ করতে দিত না। এটাই আসলে বড় কারণ। আমি আমার বেবি ও কামরুন্নেসা দুজনকেই মিস করি। অনেক। কিন্তু সে আমার কথা বুঝল না। আর কী করা! পৃথিবাটা অনেক বড়। আর একটা কথা আমি টাকা উপার্জন করে আনি অথচ আমার বাধ্যগত যদি না থাকে তাহলে আমি তাদের জন্য কেন করব? সত্যিই কিছু করার ছিল না।’
দ্বিতীয় সংসারে বাচ্চার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাত মাস সে (কামরুন্নেসা) আমার কাছ থেকে দূরে ছিল। আমি বসে বসে এগুলো সহ্য করেছি। দেখি, বাচ্চাকে রাখার চেষ্টা করব। তবে কারও যদি পাখনা গজায় যায় তো কিছু করার থাকে না। আমার ছেলের জন্য কষ্ট হচ্ছে।’
তার তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরে আরও একটি ছেলে আছে। নাম আরিয়ান। এই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিত না কামরুন্নেসা- এমন কথাও তিনি বলেন। ‘আরিয়ানকে আমার কাছে আনতে দিত না। সে আমাকে মানসিক টর্চার করতো।’
ভক্তদের উদ্দেশে রুমি বলেন, ‘আমরা গায়ক বলে কি আমাদের ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করতে পারব না? তা তো নয় নিশ্চয়। গান দিয়েই আপনাদের সঙ্গে পরিচয়। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বিবেক থেকে চিন্তা করবেন। কেউ কোনওদিন চায় না কাউকে ফিরিয়ে দিতে। আমি যদি দাঁড়াতে না পারি, তাহলে কীভাবে আরেকজনকে সাপোর্ট করব। কিছু না করে যদি জেল খাটতে হয়, এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।