খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:ছিনতাই হওয়া বিমান থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সি নিরজা ভানোট। নিজের চব্বিশতম জন্মদিনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রাণ হারাতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু আদতে কি ঘটেছিল ওইদিন! জানালেন ওই অভিশপ্ত বিমানে থাকা এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী, ডক্টর কিশোর মূর্তি। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে করাচি ও ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে নিউইয়র্কের পথে রওনা দেওয়ার কথা ছিল প্যান এম ফ্লাইট ৭৩-এর। কিন্তু করাচি বিমান বন্দরে ৩৬১ জন যাত্রী ও ১৯ বিমানকর্মী সহ ওই বিমানটিকে হাইজ্যাক করে চার সশস্ত্র জঙ্গি। বিমান সেবিকা হিসাবে নিজের প্রাণ বাঁচানোর সুযোগ পেয়েও বিমান ছেড়ে পালিয়ে যাননি নিরজা।
নিজের থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তাকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ঘটনার সময় ভারতীয় ও মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করেননি তিনি। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সব বিমানযাত্রীদের বিমান থেকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু দুটি বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়েই জঙ্গিদের চোখে পড়ে যান নিরজা। ছয় নম্বর রো থেকে নিরজার মৃত্যুর সেই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছিলেন ডক্টর মূর্তি। তাঁর চোখের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক দূরত্ব থেকে নিরজাকে খুন করে জঙ্গিরা। এই নিরজার জীবন নিয়েই মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক ওমঙ্গ কুমারের ছবি নিরজা। ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোনম কাপুর। আর নিরজাকে পর্দায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সোনমকে সাহায্য করেছেন ডক্টর মূর্তি।